রিপোর্টটির পরবর্তীতে যথার্থতা প্রমাণ করেন নিক্কি এশিয়ান রিভিউ।
নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, স্যামসাং তাদের ফোন বক্সে চার্জার প্রোভাইড করবে না; এই স্টেপটা কার্যকর হতে পারে আগামী বছর থেকে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে আগামী বছর এস সিরিজ এর ফোনগুলোর বক্সে থাকবে না কোনো চার্জার।
স্মার্টফোন বক্সে চার্জার প্রোভাইড না করার এই পরিকল্পনাটি যেহেতু আগামী বছর থেকে বাস্তবায়ন হবে তাই আগস্ট এর মাসে লঞ্চ নির্ধারিত গ্যালাক্সি নোট ২০ আল্ট্রা এবং নোট ২০ সিরিজ এর অন্যান্য ফোনের বক্সে থাকবে চার্জার।
স্যামসাং স্মার্টফোন বক্সে চার্জার প্রদান না করার পিছনে কারণটি অ্যাপেলর আইফোন এর বক্সে চার্জার প্রোভাইড না করার কারণের মতোই। দক্ষিণ কোরিয়ান স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি প্রত্যেক বছর লক্ষ্য লক্ষ্য স্মার্টফোন শিপ করে।
আর তারা যদি এই স্মার্টফোন বক্সে থেকে চার্জার বাদ দিয়ে দেয় তাহলে তাদের খরচ কম পড়বে। আবার তারা চাইলে তাদের ফোনগুলো আরেকটু অ্যাফোর্ডেবল প্রাইস করতে পারে।
পরিবেশগত ভাবে বিবেচনা করলেও অতিরিক্ত চার্জার এর ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা কমানো যাবে এই পরিকল্পনা কার্যকর করলে।
স্যামসাং কিন্তু তাদের চার্জার বিক্রি করবে – যার দরকার সে স্যামসাং আউটলেট থেকে চার্জার কিনে ইউজ করতে পারবে।
সত্যি বলতে, চার্জার বক্সে না দেওয়া নিয়ে আমার মিক্সড অপনিয়ন আছে। একদিকে দেখা গেলে এটা ভালোই হবে – আমার বাসায় ৩-৪ টা চার্জার পরে আছে – এগুলো ইউএসবি সি কানেক্টর তাই আমার কি একটা নতুন চার্জার লাগবে ? সম্ভত না।
তারপরও অ্যাপেল এবং স্যামসাং উভয় ব্র্যান্ড এর জন্য এই পদক্ষেপটি অনেক বড়ো। বছর এর শেষের দিকে যে আইফোন ১২ আসছে সেখানে হয় তো চার্জার বক্সে পাওয়া যাবে না আর স্যামসাং হয়ত এই স্টেপ আগামী বছর হতে কার্যকর করবে।
তবে যখনই করা হোক তাদের যে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে সেটা চোখ বন্ধ করেই বলা যাবে।
তবে স্যামসাং এই পদক্ষেপ উঠানোর পর যারা তাদের ফোন কিনবে তাদের খরচ কম পড়বে না স্যামসাং এর কম খরচ হবে শুধু সেটা দেখার ব্যাপার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমরা স্প্যাম ঘৃণা করি!