গতকাল শাওমি ইউরোপে অনেক গ্যাজেট ও অ্যাক্সেসরিজ রিলিজ করে। কোম্পানি একটা ৩৪-ইঞ্চির কার্ডভ ডাব্লিউ কিউ এইচডি রেজুলেশনের মনিটর বের করে যার রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্টজ ইকোসিস্টেম ইভেন্টটিতে।
এই গেমিং মনিটরটি শাওমি পূর্বেই গতবছরের অক্টোবর মাসে চায়নায় আনভেইল করেছিল।
আর যারা জানেন না তাদের বলে দিচ্ছি যে শাওমি ইন্টারন্যাশনাল ভাবে মি স্মার্ট ব্যান্ড ৫ ও মি টিভি স্টিক লঞ্চ করে দিয়েছে।
মি কার্ভড গেমিং মনিটর এর স্পেক্স এবং ফিচারস
শাওমির ৩২ ইঞ্চি কার্ভড মনিটরটি হলো এর প্রথম গেমিং মনিটর যেটার সাথে তারা আরেকটা ২৪ ইঞ্চির স্ট্যান্ডার্ড ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এর মনিটরও বের করে।
দ্বিতীয়টা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা ক্যাসুয়াল গেমার তাদের কথা মাথায় রেখে এনেছে শাওমি। তবে সেটা নিয়ে আজ কথা বলবো না।
যেটা শাওমির মূল আকর্ষণ – মি কার্ভড গেমিং মনিটর আমরা ইতিমধ্যে জানি এর সাইজ হলো ৩৪-ইঞ্চি যেখানে ব্যাবহার করা হয়েছে (এসভিএ প্যানেল, যেটা স্যামসাং এর এক ধরনের ভিএ প্যানেল খুব সম্ভবত)। এবং এর বেজেল মাত্র ২ মিলিমিটার।
মনিটরের ডিসপ্লে প্যানেলটি শাওমি ২০:৯ অনুপাতে বানিয়েছে এবং এর রেজুলেশন ডাব্লিউ কিউ এইচডি (৩৪৪০×১৪৪০ পি) আর আপনারা জানেন এর রিফেশ রেট সেকেন্ডে ১৪৪ বার যেটা যারা গেম খেলেন তাদের জন্য অনেক উপকারী।
আবার, শাওমি যেহেতু এর এসপেক্ট রেশিও ২১:৯ করেছে তাই আপনি নরমাল ১৬:৯ এস্পেক্ট রেশিও থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ওয়াইড ভিউ পাবেন।
এবার আমরা মনিটরের ডিসপ্লে প্যানেলটি নিয়ে একটু কথা বলবো।
মনিটরটিতে আছে ৮ বিটের প্লানেল যেটা ১২১ শতাংশ এস আর জিবি ওয়াইড কালার গেমেট সাপোর্ট করে। ফলে যারা ফটো বা ভিডিও এডিট করতে চান পেশাদারের মতো তাদের কালার কারেকশনে অনেক সাহায্য হবে।
ডিসপ্লে প্যানেলটি ১৬.৭ মিলিয়ন কালার শো করতে পারে। তাছাড়া এতে আপনি সাপোর্ট পাবেন এএমডি ফ্রি সিঙ্ক, লো-ব্লুরে মোড, ৩০০ নিটস পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্রাইট নেস এবং ৩০০০:১ কনট্রাস্ট রেশিও এর মত ফিচারস এর।
এই গেমিং মনিটরের মধ্যে আছে ১৫০০ আর (1500r) এর কার্ভেচার। ফলে এতে আছে স্মল ভিসুয়াল টিল্ট এঙ্গেল যেটা আপনাকে সাহায্য করবে প্যানারমিক ভিউ প্রোভাইড করার সাথে যেকোনো প্রকার ডিষ্টর্শন কমিয়ে দিয়ে।
মনিটরটি রুম এর লাইট এর ইনটেনসিটি বুঝে অটোমেটিক্যালি ডিসপ্লে ব্রাইটনেস ক্যালিব্রেট করতে পারে এবং ডিসপ্লের ক্ষতিকর ব্লু লাইট এর নির্গমন কমিয়ে চোখ ব্যাথা, মাথা ব্যাথা এবং অন্যান্য ব্যাথা থেকে রক্ষা করে।
এটা সম্ভব এর অনবোর্ড ডিসি টেকনোলজি এর জন্য।
তবে ব্যাক্তিগত ভাবে বললে আমার কাছে মনিটর এর এডজাস্টেবল মাউন্ট এর বেস্ট ফিচার বলে মনে হয়েছে।
কারণ আপনি সেটা ব্যাবহার করে যেকোনো এঙ্গেল কিংবা হাইটে মনিটরের ডিসপ্লেটি এডজাস্ট করতে পারবেন। এবং এর জন্য মাউন্টটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে ম্যাগনেটিক মেকানিজম।
মি কার্ভড মনিটরের প্রাইস এবং এভেইলেবিলিটি
শাওমি তাদের ৩৪ ইঞ্চির কার্ভড গেমিং মনিটর এর প্রাইস ইউরোপে নির্ধারণ করেছে ৩৯৯ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় ৪০০০০ হাজার বা তার বেশি) । তবে এর প্রাইস আলাদা আলাদা দেশ, মার্কেট অনুসারে ভিন্ন হতে পারে।
খুব সম্ভত বাংলাদেশে এই মনিটর শাওমি অফিসিয়াল ভাবে আনবে না। তবে শাওমি ভারতে এবছর তাদের ১৪-ইঞ্চির রেডমিবুক বের করার সাথে সেখানে স্মার্টফোন এবং এর অ্যাক্সেসরিজ ছাড়া অন্যান্য গ্যাজেট বের করার আশ্বাস দেয়।
তাই বলা যায় না ভারতে মনিটরটি আসলে বাংলাদেশে আসবে না। আপনার কি মনে হয় এই মনিটরটি এর দাম অনুসারে ঠিক ?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমরা স্প্যাম ঘৃণা করি!