২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ফোন খুঁজছেন ? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমরা ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ফোনগুলোর একটা লিস্ট দেব আপনাকে।
দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ১০-২০ হাজার টাকা প্রাইস ব্র্যাকেট এর মধ্যে থাকা ফোনগুলো। এই প্রাইস রেঞ্জের ফোনগুলো অতি বেশি মাত্রায় বিক্রি হয় এবং সেই কারণে এইখানে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় ভিন্ন ভিন্ন ফোন নির্মাতার মধ্যে।
কিছু বছর আগেও কেউ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ফোন কিনতে আগ্রহী হলে তাকে শুধু মাত্র সেই প্রাইসের মধ্যে একটা ভালো শাওমি ফোন সাজেস্ট করলেই হতো। কারণ তখন এই রেঞ্জের ফোনগুলোতে শাওমি অসাধারণ ফিচারস প্রদান করতো আর ছিল কিং অফ মিড রেঞ্জ।
শাওমি ছিল মিড রেঞ্জের রাজা। কিন্তু তারপরও অনেকে স্যামসাং বা হুআওয়ের ফোনগুলো ক্রয় করতেন।
তবে স্মার্টফোন মার্কেটে রিয়ালমি ও আসুস এর মত উদিয়মান ব্র্যান্ডগুলো যখন বাজেট আর মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে তাদের অসাধারণ ফোন নিয়ে আসে তখন এই সেগমেন্টে প্রতিযোগিতা তুমুল ভাবে বেড়ে যায়।
স্যামসাংও কিছু অসধারণ ফোন বের করা শুরু করে চির প্রতিদ্বন্দ্বী শাওমিকে টেক্কা দেওয়ার জন্য। যেমন: গ্যালাক্সি এ৫০, গ্যালাক্সি এ৭০।
দিনের শেষে এই প্রাইস ব্র্যাকেটে ফোন নির্মাতারা যতোই প্রতিযোগিতা করুক না কেন আমরাই, ক্রেতারাই উপকৃত হব। আর ২০২০ সালে এসে এই কম্পিটিশন আরো বেশি তীব্র হয়ে পড়েছে।
ফলে আমরা পাবো কম দামে বেশি ফিচারস।
তাই চলুন আজকে আমরা দেখে নেই ২০ হাজার টাকার মধ্যে এমন কিছু ফোন যেগুলো অস্থির ডিজাইন, ক্যামেরা, পারফরম্যান্স, সফটওয়্যার অফার করে।
২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ফোন (Best Phone Under 20000 In BD 2020)
বিঃদ্রঃ আজকের বায়িং গাইডে প্রত্যেকটি ফোন এর প্রাইস এবং মার্কেটে বিদ্যমান থাকা সম্পূর্ণ রূপে সময়সাপেক্ষ। পক্ষান্তরে, কোভিড-১৯ এর ব্যাপক হারে সংক্রমন এবং সেই সাথে সারা দেশ জুড়ে লকডাউন বিরাজমান হওয়ার ফলে অনেক মোবাইল সেলিং পয়েন্ট বন্ধ। তাই সব স্টোরে ফোনগুলো না থাকার সম্ভাবনাই সর্বোচ্চ। ফোনগুলোর মূল্য কমবেশি হতে পারে তাই দেখে কিনবেন। alert-info
২০ হাজার টাকার মধ্যে ফোন নিয়ে কথা বললে সবার আগে যেই ফোনটির নাম আসে সেটা হলো Xiaomi Redmi Note 9। এই প্রাইস রেঞ্জে এটি একটি সেরা ফোন। ফোনটির মূল্য ১৯,৯৯৯ টাকা (আন অফিসিয়ালি)।
ফোনটিতে আপনি পাবেন ৬.৬৭- ইঞ্চির একটা বড়ো আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে যার রেজোলিউশন ১০৮০ × ২৩৪০ বা ফুল এইচডি প্লাস। ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটি হলো ৩৯৫ পিপিআই আর এটি কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ দ্বারা সুরক্ষিত। এছাড়া ডিসপ্লেটি ৪৫০ নিট পর্যন্ত ব্রাইট হয়।
Image Credit:: Xiaomi
ফোনটিকে পাওয়ার করছে মিডিয়াটেক এর Helio G85 প্রসেসরটি। সাথে আছে Mali-G52 MC2 এর গ্রাফিক্স। মেমোরি হিসেবে ৩ জিবি বা ৪ জিবি সিলেক্ট করতে পারবেন। স্টোরেজ পাবেন ৬৪ বা ১২৮ জিবি। স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য আছে মাইক্রো এসডি এক্সপানশন সাপোর্ট।
ফোনটি চলছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ ভার্সনের এর উপর এবং এর মিইওআই ভার্সন ১১ তবে এটা মিইওআই ১২ এ আপগ্রেড করা সম্ভব। ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরসহ যাবতীয় সেন্সর আপনি পেয়ে যাবেন। নো চিন্তা। ডু ফুর্তি।
ফোনটির মেইন রিয়ার ক্যাম ৪৮ মেগাপিক্সেল এর সাথে আছে ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড, ২ মেগাপিক্সেল এর ডেপথ সেন্সর ও ম্যাক্রো সেন্সর। ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেল এর। আপনি একটা ভালো ক্যামেরা এক্সপেরিয়েন্স পাবেন এখানে।
সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে এই বাজেটে এটি একটি অসাধারণ ফোন। ফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত রিভিউ পড়তে এখানে ভিজিট করুন।
যারা স্যামসাং এর ফ্যান তাদের জন্য এই প্রাইস এর মধ্যে Samsung Galaxy M31 একটা বেস্ট অপশন হবে। ফোনটি দেশে কিছু সময় আগে লঞ্চ হয়। ফোনটির মূল্য ১৯,০০০ টাকা ( আন অফিসিয়াল)।
এই ফোনটির ডিসপ্লে হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে ৬.৪- ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড প্যানেল যার রেজোলিউশন ফুল এইচডি প্লাস। ডিসপ্লের কালার অসাধারণ হবে কেননা এটি সুপার অ্যামোলেড টেকনোলজির। তাছাড়া এর শার্পনেসও ঠিক জায়গায় থাকবে।
Image Credit:: Samsung
ফোনটির চিপসেট হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে স্যামসাং এর নিজস্ব Exynos 9611 । এই সিস্টেম-অন-চিপটি স্যামসাং এর অন্যান্য বাজেট ফোন যেমন গ্যালাক্সি এ৫১ বা গ্যালাক্সি এ৫০ তে ইউজ করা হয়েছে। নরমাল অ্যাপ ওপেনিং থেকে হাই-এন্ড গেমও এতে ভালোমতো খেলা যাবে।
ফোনটির রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে আছে ৬৪ মেগাপিক্সেল এর মেইন লেন্স এবং ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেল এর ম্যাক্রো ক্যাম ও ডেপথ সেন্সর। ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে আছে ৩২ মেগাপিক্সেল এর সেন্সর।
এই অসাধারণ স্যামসাং মিড রেঞ্জার এর মধ্যে আপনি পাবেন লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১০ ভার্সন সাথে আছে লেটেস্ট ওয়ান ইউআই ২.০। তাছাড়া ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ এর আপগ্রেড পাবে বলে জানিয়েছে স্যামসাং। এর সফওয়্যার আপনাকে মুগ্ধ করবে।
তবে এই ফোনটির মূল সেলিং পয়েন্ট হলো এর অস্থির বড়ো ৬০০০ মিলি এম্প আওয়ার এর ব্যাটারি। এবং সাথে থাকছে ফাস্ট চার্জিং এর সুবিধা। আপনি দেড় দিনের ব্যাকআপ সহজেই পেয়ে যাবেন।
স্যামসাং লাভার আর ভালো ব্যাটারি লাইফ এর জন্য এটি একটি অসাধারণ ফোন হতে পারে। ফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত রিভিউ পড়তে এখানে ভিজিট করুন।
এই বাজেটের মধ্যে আরেকটি সেরা ফোন হলো Vivo U20। ফোনটি ভিভো বের করেছিল মিড-রেঞ্জের শাওমি আর রিয়ালমির ফোনগুলোর সাথে যুদ্ধ করার জন্য। ফোনটির মূল্য ১৭,৫০০ টাকা (আন অফিসিয়াল)
ফোনটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে একটা ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে যার সাইজ ৬.৫৩-ইঞ্চি। এটি একটি আইপিএস টেকনোলজির ডিসপ্লে এবং সেই সাথে এর পিক্সেল ডেনসিটি ৩৯৫ পিপিআই। এর স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও হলো ৮৪.৪%।
ফোনটির অভ্যন্তরে ব্যাবহার করা হয়েছে একটা শক্তিশালী প্রসেসর– Snapdragon 675। এটি একটি অসাধারণ মিড-রেঞ্জ প্রসেসর এবং এটি ১১ ন্যানো মিটার প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে বানানো। এর জিপিউ হিসেবে আছে Adreno 612। এটি একটি গেমিং অপটিমাইজড জিপিউ।
Image Credit:: 91Mobiles
ফোনটির ডিজাইন আকর্ষণীয় এবং এতে সকল প্রয়োজনীয় সেন্সর আপনি পেয়ে যাবেন। এর ব্যাটারির সাইজ ৫০০০ মিলি এম্প আওয়ার। তাই আপনি ভালো ব্যাকআপ পাবেন। তাছাড়া এতে ১৮ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং এর সাপোর্ট আছে। খুব দ্রুত ফোনটি চার্জ করতে পারবেন।
ফোনটির পিছনে আছে ১৬ মেগাপিক্সেল এর প্রাইমারি ক্যামেরা সাথে আছে ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেল এর ম্যাক্রো ক্যাম। সেলফি ক্যামেরা ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি ওয়াইড লেন্স। এটি HDR ফিচারটি সাপোর্ট করে।
ফোনটি চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই অপারেটিং সিস্টেম এর উপর এবং এর উপর চলছে ভিভোর নিজস্ব ফান টাচ ওএস ৯.২। যাদের কাস্টোমাইজেশন করতে অনেক ভালো লাগে তাদের এই ফোনটি অনেক ভালো লাগবে। তবে এটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ পাবে কি না সেটা অনিশ্চিত।
ভিভোর ফ্যান এবং গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য Vivo U20 ভালো হবে।
যারা পিওর অ্যান্ড্রয়েড পছন্দ করেন তারা ইতিমধ্যে Xiaomi Mi A3 এর কথা শুনে ফেলছেন। ফোনটি ২০১৯ সালের জুলাই মাসে লঞ্চ হলেও ফোনটি একটা ভালো পারচেস হতে পারে। এর মূল্য ১৭,৯৯৯ টাকা ( অফিসিয়ালি) ।
ফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে গ্লাস দিয়ে এবং এর ফ্রেম করা হয়েছে প্লাস্টিকের। এর ডিসপ্লে হলো সুপার অ্যামোলেড টেকনোলজির তবে এর রেজোলিউশন ১৫৬০ × ৭২০ বা এইচডি। এর ডিসপ্লে সাইজ ৬.০৯- ইঞ্চির। আর এটি গরিলা গ্লাস ৫ দ্বারা সুরক্ষিত।
Image Credit:: 91Mobiles
একে পাওয়ার করছে Snapdragon 665 প্রসেসরটি। এটি এখন একটু পুরনো হয়ে গেছে তারপরও এটি ভালো পারফরম্যান্স অফার করবে। এর জিপিউ হিসেবে আছে Adreno 610। এইচডি ডিসপ্লেতে কোনো সমস্যা ছাড়া গেম চলবে।
ফোনটির পিছনে আছে ট্রিপল ক্যামেরা। এর মেইন ক্যাম ৪৮ মেগাপিক্সেল এর সাথে আছে ৮ মেগাপিক্সেল এর ওয়াইড লেন্স ও ২ মেগাপিক্সেল এর ডেপথ সেন্সর। ফোনটির ফ্রন্ট ক্যাম ৩২ মেগাপিক্সেল এর এবং এটি HDR সাপোর্ট করে।
ফোনটি চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই এর উপর তবে এটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ এ আপগ্রেড করা সম্ভব। এখানে কোন ব্লোটওয়্যার নেই শুধু স্টক অ্যান্ড্রয়েড এক্সপেরিয়েন্স পাবেন।
ফোনটির ব্যাটারি সাইজ ৪০৩০ মিলি এম্প আওয়ার এবং এটি ১৮ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ফোনটির স্ক্রিন এর ভেতর দেওয়া আছে যেটা অপটিকাল টেক ব্যাবহার করে। ফোনটিতে মাইক্রো এসডি এক্সপানশন নেই।
স্টক অ্যান্ড্রয়েড এবং ভালো ক্যামেরার জন্য এই ফোনটি ভালো হবে সবার জন্য।
বাজারে নতুন ব্র্যান্ড হলো টেকনো। তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে বাজেটে তাদের প্রতিপত্তি বাড়ানোর। Techno Camon 15 Pro তাদের চেষ্টার একটি ভালো উদাহরণ। এর মূল্য ১৯,৯৯০ টাকা।
আপনি এতে পাবেন ৬.৬ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে প্যানেল যার রেজোলিউশন ১০৮০ × ২৩৪০ পিক্সেল। এর স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও ৮৪.৩% এবং এর পিক্সেল ডেনসিটি ৩৯০ পিপিআই। পপ-আপ সেলফি থাকায় এতে ফুলভিউ অভিজ্ঞতা পাবেন আপনি।
Image Credit:: 91Mobiles
ফোনটির চিপসেট হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে মিডিয়াটেক এর Helio P35। এটি ১২ ন্যানো মিটার প্রযুক্তির উপর বানানো। এর জিপিউ হিসেবে আপনি পাবেন PowerVR GE8320। ফোনটিতে থাকবে ৬ জিবি মেমোরি ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
ফোনটির মেইন রিয়ার ক্যাম ৪৮ মেগাপিক্সেল এর। এবং বাকি তিনটি ক্যামেরা সমন্ধে বেশি তথ্য নেই। এর ফ্রন্ট ক্যামেরা ১৬ মেগা পিক্সেল এর সেন্সর। এটি সর্বোচ্চ ১০৮০পি ৩০ এফপিএস এ ভিডিও রেকর্ড করতে পারে।
ফোনটিতে ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য আছে ৫০০০ মিলি এম্প আওয়ার এর নন রিমুভেবল ব্যাটারি। ফোনটির পিছনে আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ফোনটি চলছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ এর উপর।
অতএব, আপনার যদি একটা স্টাইলিশ ফোন দরকার হয় তাহলে এটি দেখতে পারেন।
আজকের লিস্টে আমাদের আরেকটি স্যামসাং ফোন রাখতে হয়েছে। এটি হলো Galaxy A30s। ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স পাবেন এতে। এর দাম ১৯,৯৯৯ টাকার মতো।
এই স্যামসাং মিড রেঞ্জার এর ডিসপ্লে হিসেবে আছে ৬.৪- ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড প্যানেল এবং এর রেজোলিউশন এইচডি, ৭২০ × ১৫৬০ পিক্সেল। এর পিক্সেল ডেনসিটি ২৬৮ পিপিআই। এবং স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও হলো ৮৪.৯%। ইনিফিনিটি ইউ শেপের নচ ইউজ হয়েছে।
Image Credit:: Samsung
এর অভ্যন্তরে আছে Exynos 7904 চিপসেট। এটি ১৪ ন্যানো মিটার প্রযুক্তির উপর বানানো। এর ২টি কর্টেক্স এ৭৩ কোর ১.৮ গিগাহার্টজ এর উপর ক্লক করা আর বাকি ৬ টা কর্টেক্স এ৫৩ কোর ১.৬ গিগাহার্টজ এর উপর ক্লক করা। জিপিউর জন্য আছে Mali G72 MP2।
ফোনটির মেইন রিয়ার ক্যামেরা ২৫ মেগাপিক্সেল এর এবং সাথে আছে ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড এঙ্গেল ও ৫ মেগাপিক্সেল এর ডেপথ সেন্সর। সামনের ফ্রন্ট ক্যামেরাটি ১৬ মেগাপিক্সেল এর ওয়াইড লেন্স। এটি সর্বোচ্চ ১০৮০পি ৩০ ফ্রেম পার সেকেন্ডে ভিডিও ধারণ করে।
যারা স্যামসাং এর ফোন পছন্দ করেন তারা এই ফোনটি নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন যদি এম৩১ ভালো না লাগে।
মিড-রেঞ্জ মার্কেটে অপো অনেক বেশি জনপ্রিয় বিশেষ করে অফলাইন মার্কেটে এর জনপ্রিয়তা তুমুল। তাই অপো পাখাদের জন্য আমরা রেখেছি Oppo A9 2020 ডিভাইসটি। এর মূল্য ১৯,৯৯০ টাকা।
ফোনটির ডিসপ্লে কনফিগারেশন হলো ৬.৫- ইঞ্চির এইচডি প্লাস এলসিডি প্যানেল। এর স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও হলো ৮৯%। ফোনটির ডিসপ্লেতে ওয়াটার ড্রপ স্টাইল নচ ব্যাবহার করা হয়েছে আর সুরক্ষা প্রদান করার জন্য আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ এর কভারিং।
এর অভ্যন্তরে পাওয়ার করছে Snapdragon 665 প্রসেসরটি। এর সাথে আছে Adreno 610 জিপিউ। ৪ অথবা ৮ জিবি মেমোরি ভেরিয়েন্টে আপনি ফোনটি পাবেন। আর ১২৮ জিবি স্টোরেজ উভয় মেমোরি ভেরিয়েন্টের সাথে পাবেন।
গেম খেলার অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য এতে আছে গেম বুস্টার ২.০। তাছাড়া আরো থাকবে ফ্রেম বুস্ট ও টাচ বুস্ট এর মত গেম অপটিমাইজ করার ফিচার। ফোনটিতে অনায়াসে পাবজি বা কল অফ ডিউটির মত গেম খেলা সম্ভব।
তাছাড়া সিপিইউটি অ্যাপ ওপেনিং সহ অন্যান্য কাজও হ্যান্ডেল করতে পারবে।
ফোনটির পিছনে আছে ৪৮ মেগাপিক্সেল এর রিয়ার ক্যাম যার সাথে আছে ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড ক্যাম, ২ মেগাপিক্সেল এর মোনোক্রম সেন্সর ও ২ মেগাপিক্সেল এর ডেপথ সেন্সর। পোট্রেট মোড, নাইট মোড, স্লো মোশন, প্রো মোড সবই পাবেন এর ক্যামেরাতে।
Oppo A9 2020 ফোনটিতে আছে বড়ো ম্যাপের ৫০০০ মিলি এম্প আওয়ার ব্যাটারি। একে ফাস্ট চার্জ করার জন্য বক্সে পাবেন ১৮ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জার। ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক ও ফেস আনলক দুইটাই পাবেন।
২০ হাজার টাকার মধ্যে এটি অপোর একটি বেস্ট ফোন। সবাইকে সন্তুষ্ট করবে আশা করছি।
দেশের বাজারে রিয়ালমি একটা উদিয়মান ব্র্যান্ড। RealMe X রিয়ালমির তরফ থেকে একটি অসাধারণ মিড রেঞ্জ ফোন। এটি প্রথম বাজেট সেগমেন্টে পপ-আপ ক্যামেরা ও নচবিহীন ফুল ভিউ ডিসপ্লে নিয়ে আসে। এর দাম ১৯,৫০০ টাকা (আন অফিসিয়াল)
রিয়ালমি এই ফোনটিতে একটি ভালো কোয়ালিটির ডিসপ্লে দিয়েছে। এর রেজোলিউশন ফুল এইচি+ ১০৮০ × ২৩৪০পি। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে একটি অলেড ডিসপ্লে। এর সর্বোচ্চ ব্রাইটনেস ৪৫০ নিটস। আপনি অনেক সুন্দর কালার দেখতে পাবেন এখানে।
তাছাড়া অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকার কারণে ফোনটিতে আছে অপটিকাল ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যার স্পিড অনেক ফাস্ট হবে।
Image Credit:: Realme
পূর্বের RealMe 3 Pro তে রিয়ালমি যেই চিপ ব্যাবহার করেছিল সেই একই চিপসেট তারা এই ফোনেও ইউজ করেছে। তবে এটা কোনো খারাপ ব্যাপার নয়। কারণ Snapdragon 710 একটি অত্যন্ত ভালো প্রসেসর যেটা বানানো হয়েছে ১০ ন্যানো মিটার টেক এর উপর।
তাই এটা অনেক পাওয়ার এফিসিয়েন্ট বটে। এটি এই বাজেটের মধ্যে একটি সেরা প্রসেসর এবং আপনি নিশ্চিন্তে পাবজির মতো গেম খেলতে পারবেন।
ফোনটি চলছে কালার ওএস এর উপর যেটা কিনা অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই এর উপর বিল্ট করা। আপনি এতে সকল কাস্টোমাইজেশন ফিচারস পেয়ে যাবেন। ইউআইটি সবার ভালো নাও লাগতে পারে। তবে যাদের কাস্টোমাইজেশন করতে ভালো লাগে তাদের অবশ্যই ভালো লাগবে।
পিছনে আছে ৪৮ মেগাপিক্সেল এর মেইন ক্যামেরা এবং তার সাথে আছে একটা ৫ মেগাপিক্সেল এর ডেপথ সেন্সর। ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে 4K ৩০ ফ্রেম পার সেকেন্ডে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা পপ আপ মোটরে লাগানো। এটি ১৬ মেগাপিক্সেল এর।
যাদের একটা সুন্দর ফোন দরকার ভালো পারফরমেন্স এর সাথে তাদের জন্য RealMe X ভালো একটা অপশন হবে।
২০ হাজার টাকা বাজেটে আরেকটি সেরা রিয়ালমি ফোন হলো RealMe 6। এটি RealMe X থেকে নতুন কেননা এটি এবছরই লঞ্চ হয়। এর দাম ১৯,০০০ টাকা (আন অফিসিয়াল)।
ফোনটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে ৬.৫- ইঞ্চির একটা তুলনামূলক বড়ো ডিসপ্লে। এর রেজোলিউশন ফুল এইচডি প্লাস ১০৮০ × ২৩৪০পি। এর বিশেষত্ব হলো এর ৯০ হার্টজ এর রিফ্রেশ রেট যেটা সবকিছু ফাস্ট করে দিবে।
Image Credit:: Realme
ফোনটির ডিসপ্লের বাম দিকের কর্নারে আছে একটা পাঞ্চ হোল যেটা নচ থেকে কিছুটা ভালো।
এর সাথে আছে ৪৮০ নিটস এর ব্রাইটনেস রেঞ্জ। মিডিয়াটেক Helio G90T প্রসেসরটি ব্যাবহার করা হয়েছে এই ফোনটিতে। এটি একটি গেমিং অপটিমাইজড প্রসেসর। এর জিপিউ হিসেবে আছে Mali-G76 MC4। সিপিইউটি ১২ ন্যানো মিটার টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে বানানো।
RealMe 6 ফোনটি কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে আসে। এর পিছনে আছে ৬৪ মেগাপিক্সেল এর মেইন ক্যাম, ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল এর ম্যাক্রো ক্যাম ও ২ মেগাপিক্সেল এর ডেপথ ক্যাম।
ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা হলো ১৬ মেগাপিক্সেল এর। এটি HDR ফিচারটি সমর্থন করে। এবং ১০৮০পি ৩০ ফ্রেম পার সেকেন্ডে ভিডিও ধারণ করতে পারে।
ফোনটিতে আছে ৪৩০০ মিলি এম্প আওয়ার এর বড়ো ব্যাটারি এবং ৩০ ওয়াট এর সুপার ফাস্ট চার্জিং। রিয়ালমি এর মতে এটি ৫৫ মিনিটে ফোনটিকে ১০০% চার্জ করে দিবে।
এই ফোনটি চলছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ এর রিয়ালমি ইউআই এর উপর।
পূর্বের রিয়ালমি ফোনটি একটু পুরনো লাগলে এই গেমিং অপটিমাইজড RealMe 6 আপনি দেখতে পারেন।
আমাদের লিস্টের শেষ ফোনটি হলো ভিভোর Vivo Y19 স্মার্টফোনটি। গত বছরের নভেম্বর মাসে ফোনটি বের হলেও এটি এখনও একটা ভালো অপশন। দেশে এর দাম পরবে ১৯,৯৯০ টাকা।
ফোনটির ডিসপ্লে হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে ৬.৫৩- ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি প্যানেল। এর পিক্সেল ডেনসিটি ৩৯৫ পিপিআই। রেজোলিউশন ১০৮০ × ২৩৪০পি বা ফুল এইচডি প্লাস। এর স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও ৮৪.৪%। নচ কাট-আউট ব্যাবহার করা হয়েছে এতে।
অভ্যন্তরে আছে মিডিয়াটেক Helio P65 প্রসেসরটি। এটি ১২ ন্যানো মিটার এর উপর ভিত্তি করে বানানো। এর সাথে জিপিউ হিসেবে আছে Mali-G52 MC2।
Image Credit:: Vivo
ফোনটি চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই এর ফানটাচ ওএস এর উপর।
ফোনটিতে আছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা। প্রাইমারি শুটার ১৬ মেগাপিক্সেলের, আল্ট্রা ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সটি ৮ মেগাপিক্সেলের এবং ম্যাক্রো সেন্সরটি ২ মেগাপিক্সেল এর। ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা ১৬ মেগাপিক্সেল এর ওয়াইড সেন্সর।
ফোনটি সর্বোচ্চ ১০৮০পি ৩০ ফ্রেম পার সেকেন্ডে ভিডিও ধারণ করতে পারে।
ফোনটির মূল আকর্ষণ হলো ৫০০০ মিলি এম্প আওয়ার এর বড়ো ব্যাটারি যেটা ১৮ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং ও ৫ ওয়াট এর রিভার্স চার্জিং সাপোর্ট করে যেটা অন্য কোনো ডিভাইসকে চার্জ করতে পারবে।
ভিভো ফ্যানদের জন্য এই ফোনটি একটা ভালো অপশন ২০ হাজার টাকার প্রাইস রেঞ্জে।
মতামত
আশা করি এই ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ফোনের লিস্ট আর্টিকেলটা আপনার কাজে দিয়েছে। এখন আপনি কিছুটা হলেও এই প্রাইস রেঞ্জে একটা ভালো ফোন এর সমন্ধে ধারণা পেয়েছেন।
আমার ব্যাক্তিগত ভাবে স্যামসাং এর Galaxy M31 অনেক বেশি পছন্দ কারণ এর অসাধারণ ডিসপ্লে আর বড়ো ব্যাটারি আসলেই অস্থির ধরনের।
আপনার কি কোনো ফেভারিট ফোন আছে এই ২০ হাজার টাকার প্রাইস রেঞ্জে ? থাকলে কমেন্টে জানাবেন। আল্লাহ হাফেজ। সবাই ভালো থাকবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমরা স্প্যাম ঘৃণা করি!