ভিপিএন কী ? সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড ভিপিএন অ্যাপ [২০২০]
byTitansCreed —0
আজকের দিনে সকলের যেই বিষয়টার উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন সেটা হলো অনলাইন সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি। ইন্টারনেট দুনিয়ার ক্রম বিকাশের ফলে একদিকে যেমন জীবন উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাচ্ছে অন্য দিকে আমাদের নিরাপত্তা প্রতিদিন সংকোচ করা হচ্ছে।
একটা ভালো ভিপিএন অ্যাপ আপনাকে কতটা সাহায্য করতে পারে সেটা আশা করি আপনারা সবাই জানেন ও বুঝেন। আপনার অনলাইন ভিত্তিক সিকিউরিটি আরো শক্তিশালী করার একটি মুখ্য উপায় হচ্ছে একটা ভিপিএন সার্ভিস কাজে লাগানো।
ভিপিএন আপনার নেট কানেকশন কে সুরক্ষা প্রদান করে এবং তার পাশাপাশি আপনার ডেটা ব্রিচ (Data Breach) হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া একটা নির্দিষ্ট এলাকায় যেই সব সার্ভিস সীমাবদ্ধ করে রাখা হয় সেগুলো একসেস করতেও ভিপিএন দরকার। alert-success
অ্যান্ড্রয়েড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কিনা দৈনিক ১০০ কোটিরও অধিক ইউজাররা একটিভ থাকে, সেখানে গুগল প্লেতে এত বেশি ভিপিএন অ্যাপ যে থাকবে সেটা জানা কথা।
কিন্তু সকল ভিপিএন অ্যাপ যে ভালো সে কথা সত্যি নয়। অনেক ভিপিএন অ্যাপের মধ্যে সেরা ভিপিএন খুঁজা অনেক জটিল কাজ বটে।
আপনার কাজ সহজ করে সময় বাঁচানোর জন্য আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি কিছু ফ্রি এবং পেইড ভিপিএন অ্যাপ যেগুলো নিরাপদ এবং একইসাথে দ্রুত কানেকশন স্পিড প্রদান করে।
এই আর্টিকেলে বিশদভাবে আলোচনা করবো ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড ভিপিএন অ্যাপ নিয়ে এবং তুলে ধরবো আমার ব্যাক্তিগত পছন্দের ভিপিএন অ্যাপটি।
যারা ইতিমধ্যে ভালোভাবে জানেন ভিপিএন কি জিনিষ আর কিভাবে কাজ করে তাহলে আপনি স্ক্রল করে নিচে চলে চান সেরা ১০ ভিপিএন অ্যাপএর লিস্টে। এটা আপনার কাজে দিবে না। আর বাকিরা পড়তে থাকুন।
ভিপিএন VPN মূলত একটি শর্ট ফর্ম, যার সম্পূর্ণ অর্থ ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক Virtual Private Network। এটি একটি সিকিউরিটি টুল যেটা কিনা সাইবার জগতে আপনার নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপশি ব্লক করা সাইটগুলোতে আপনার প্রবেশ নিশ্চিত করে। alert-success
সহজে বললে ভিপিএন একজন ওয়েব সার্ফার এর জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় সিকিউরিটি টুল। স্ট্রিমিং সাইট আনব্লকিং থেকে শুরু করে টরেন্টিং পর্যন্ত ভিপিএন এর ব্যাবহার করা উপলব্ধ। তবে এর ব্যাবহার বিধি কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
নানাভাবে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিপিএন এর ইউজ কেস আছে। আমাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো কাজের জন্য ভিপিএন এর প্রয়োজন হয়। তবে সকল ভিপিএন সার্ভিস তাদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ গুগল প্লেতে উন্মুক্ত করে নি। বেশিরভাগ ভিপিএন সার্ভিস গুলোর অ্যাপই প্লে স্টোরে আছে।
ভিপিএন গুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রাইস ট্যাগ নিয়ে আসে। কিছু আছে ফ্রি, আর কিছু আছে পেইড। তবে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সকলেরই উচিত কিছু টাকা খরচ করে একটা ভালো ভিপিএন সার্ভিস ক্রয় করা। তবে কিছু ফ্রি ভিপিএন আছে যেগুলো আপনি নিশ্চিন্তে ইউজ করতে পারবেন।
ভিপিএন কেন ব্যাবহার করবেন ?
আগেই বলে দিয়েছি যে ভিপিএন এর ইউজ কেস কি কি হতে পারে। তবে এবার একটু ডিটেইলে কথা বলবো। আপনার মনের সকল কনফিউশন দুর করে দেবো। ইনশাআল্লাহ।
প্রথমত, আপনার সিকিউরিটি। আপনি কি চান আপনার প্রাইভেট ডেটা কোনো অজানা অনলাইনে সোর্স এর নিকট এক্সপোজ হোক ? আপনি অবশ্যই সেটা চাইবেন না। তাই না ? ভিপিএন আপনাকে আপনার ডেটা সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বাস্তব উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি– ধরুন আপনি কোনো জায়গায় পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যাবহার করছেন। এখন পাবলিক ওয়াই-ফাই গুলো কতটা নিরাপদ সেটা সবাই জানেন। এই ক্ষেত্রে আপনি যাই করুন সেটা যেনো কোনোভাবে কোনো হ্যাকার জেনে কোনো প্রকার ক্ষতি না করে সেটা সুনিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো একটা ভালো ভিপিএন ব্যাবহার করা। alert-success
আবার ধরুন আমাদের বাংলাদেশে এখনও অনেক জনপ্রিয় স্ট্রিমিং সাইট থেকে শুরু করে অনেক সোশাল সাইট এর কিছু ফিচারস বা শো সীমাবদ্ধ করা। এক্ষেত্রে আপনি যদি সেই সব শো বা ফিচারস একসেস করতে চান তাহলেও আপনাকে একটা ভিপিএন এর শরণাপন্ন হতে হবে।
তারপর আপনি চাইলে নেটফফ্লিস বা প্রাইম ভিডিওতে জিও রেস্ট্রিক্টেড কন্টেন্ট অ্যাকসেস করতে পারবেন একটা ভালো ভিপিএন ব্যাবহার করে অনেক সহজে।
তবে অনেকে ভিপিএন এর অনৈতিক ব্যাবহার করে বা ভিপিএন এর ভুল ব্যাবহার করে তবে এসব করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আমাদের ব্লগ এই কাজ কর্ম কোনোভাবে প্রমোট করে না। তাছাড়া যারা করেন বা ভাবছেন তাদের সতর্ক করে দেই আপনাকে পরে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
ভিপিএন কিভাবে কাজ করে জানেন ?
VPN আমাদের কতটা নিরাপত্তা প্রদান করে সেটা এখন সবাই আন্দাজ করতে পারছেন। তবে আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে যে এই ভিপিএন কিভাবে কাজ করে ? এখানে আমি সহজে আপনাকে এর কার্যকলাপ বুঝিয়ে দেবো।
একটা জিনিষ বুঝুন আপনি কিভাবে ইন্টারনেটে কানেক্ট হন। আপনি একটা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপি এর কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডউইথ নিয়ে নেট ব্রাউজ করেন মাসিকভাবে।
এক্ষেত্রে যখন আপনি কোনো সাইট এ ঢুকতে চান তখন আপনাকে সার্ভার এ রিকুয়েস্ট পাঠাতে হয় অতঃপর সার্ভার আপনার প্রস্তাবিত সাইটটি লোড করে। এক্ষেত্রে আপনি কোন সাইট এ যেতে চাচ্ছেন সব কিছুই ISP মনিটর করতে পারে।
আমরা যেসকল সাইট ব্যাবহার করি যেমন: Facebook, Twitter ইত্যাদি এদের প্রত্যেকেরই একটা নির্দিষ্ট ও ভিন্ন আইপি অ্যাড্রেস আছে (IP Address)।
আর এদের ডোমেইন গুলো হলো কেবল এর আইএসপির একটি ছদ্মনাম। বস্তুত, আমরা যেকোনো ডোমেইন টাইপ করি না কেন সেটা ব্রাউজার গুলো আইপি অ্যাড্রেসে পরিবর্তন করে এবং আমরা সাইটে ঢুকতে পারি।
এরকমভাবে আপনার প্রত্যেকটি ডিভাইস এর একটা নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস আছে। এই আইপি অ্যাড্রেস গুলো মনে রাখা খুবই কঠিন এর জন্যই আমরা ডোমেইন ব্যাবহার করি কারণ এটা মনে রাখা অনেক সহজ।
যখন আপনি ভিপিএন ব্যাবহার করেন না তখন আপনার ব্রাউজিং হিস্টরি ও যেই সাইট এ যাতে চাচ্ছেন সেই সাইট এর কথা আইএসপি জেনে যায়। অনেক সময় এই আইএসপি গুলো আপনার ডেটা গুলো কালেক্ট করে সেটা বিক্রি করে দেয় বিজ্ঞাপন সাইটগুলোতে। ফলে আপনি যেই বিষয়ে ইন্টারেস্টেড সেই বিষয়ের অ্যাড আপনাকে দেখানোও হয়। alert-success
কিছু সাইটে লেখাও থাকে যে আমরা কুকিজ ব্যাবহার করি। আর মূলত এইসব সাইটে আপনি যেই বিষয়ে ইন্টারেস্টেড সেই বিজ্ঞাপন গুলো গুগল আপনাকে দেখায়।
ভিপিএন যখন ব্যাবহার করা হয় তখন আপনার প্রস্তাবিত সাইটটির কথা আপনার আইএসপি জানতেই পারে না। কারণ আপনি প্রথমে কানেক্ট করেন অন্য জয়গায় থাকা একটা ভিপিএন সার্ভারে আর সেখান থেকে আপনি যে সাইটে চান সেখানে ঢুকেন।
ভিপিএন ব্যাবহার করে যখন আপনি কোনো ডেটা পাঠান তখন সেটা একটা টানেল এর ভিতর দিয়ে এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়। এর ফলে আপনার ডেটা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাছাড়া আপনি জিও রেস্ট্রিকটেড কন্টেন্টও অ্যাকসেস করতে পারবেন। alert-success
কারণ আপনার দেশে কোনো কন্টেন্ট রেস্ট্রিকট হতে পারে কিন্তু সেটা অন্য কোনো দেশে রেস্ট্রিকশন এর আওতায় নেই। যেমন: নেটফ্লিক্স এর বেশিরভাগ জনপ্রিয় শো আমেরিকার জন্য বানানো আর বাকি বিশ্বে কেবল একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কন্টেন্ট আছে। কিন্তু ভিপিএন দিয়ে সেগুলো সহজেই স্ট্রিম করা যায়।
সেরা ভিপিএন অ্যাপ নির্বাচন করবেন করবেন কিভাবে ?
অ্যান্ড্রয়েড দুনি়াজুড়ে অনেক ভিপিএন বিদ্যমান যাদের আছে ভালো অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্ট। দিনের শেষে কোন ভিপিএনটি আপনি ব্যাবহার করবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার ব্যাক্তিগত পছন্দের উপর। আপনি আমাদের ফেভারিট ভিপিএন SurfShark অ্যাপটি ইউজ করতে পারেন।
যেভাবে ভালো ভিপিএন বাছাই করবেন:
আপনার ভিপিএন সার্ভিসের যেনো একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থাকে।
এমন এক ভিপিএন বাছাই করবেন যেটা কিনা একাধিক ডিভাইসে কাজ করবে।
আপনার ভিপিএন সার্ভিসটির যেনো শক্তিশালী সিকিউরিটি থাকে।
সর্বশেষ, এমন ভিপিএন ইউজ করবেন যারা স্পষ্ট ভাবে তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশনস ও প্রাইভেসি পলিসি উল্লেখ করেছে।
সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড ভিপিএন অ্যাপ [২০২০]
বিঃদ্রঃ আমাদের আজকের লিস্টের ভিপিএন অ্যাপগুলো সহজেই গুগল প্লে থেকে ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপগুলোর কিছু আছে ফ্রি আর কিছু আছে পেইড। কিছু অ্যাপগুলোর ফ্রি প্ল্যান ও প্রিমিয়াম প্ল্যান আছে। তাছাড়া এই ভিপিএন লিস্টের প্রত্যেকটি অ্যাপ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আপনার সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সক্ষম। alert-info
1. Proton VPN
আজকের লিস্টের প্রথমে আমরা যেই ভিপিএন অ্যাপটি রেখেছি সেটা হলো প্রোটন ভিপিএন। এর নির্মাতা সুইজারল্যান্ড এর একদল দক্ষ বৈজ্ঞানিক। যারা Proton Mail নামক এনক্রিপ্টেড মেইল সার্ভিসটি ব্যাবহার করেছেন তারা জানেন এইটাও ওই একই ডেভেলপারদের বানানো।
অ্যাপটির ফ্রি ভার্সন আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে– ব্রাউজিং হিস্টরি রেকর্ড করবে না, প্রাইভেসির জন্য ক্ষতিকর অ্যাড দেখাবে না, আপনার ডেটা থার্ড পার্টির কাছে বিক্রি করবে না ও আপনার ব্রাউজিং স্পিড কমিয়ে দিবে না।
অ্যাপটি AES-256 ও 4096 RSA ব্যাবহার করে আপনার ডেটা এনক্রিপ্ট করে তাই আপনার ডেটা শেয়ার করতে পারবে না। এটি দুটি ভিপিএন প্রটকোল সাপোর্ট করে– IKEv2/IPSec ও OpenVPN। তাছাড়া এটি আপনার DNS এনক্রিপ্ট করে যাতে আপনার ব্রাউজিং DNS কুয়েরি দ্বারা না পাওয়া যায়।
ফ্রি ইউজাররা আমেরিকা, জাপান ও নেদারল্যান্ড এর সার্ভার গুলোতে একটি ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবেন। আর পেইড ইউজাররা ৪৪ টি দেশের ৫৭৭টি সার্ভার অ্যাকসেস করতে পারবেন।
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন এর দুটি ভাগ আছে– ব্যাসিক ৪৮$ আর প্লাস ৯৬$ প্রতি বছর। পেইড ইউজাররা– ফাইল শেয়ারিং, বিট টরেন্ট এবং একসাথে ২ কিংবা ৫টি ডিভাইস কানেক্ট করার সুযোগ পাবেন।
ফিচারস:
ডাউনলোড লিমিট করে না ও ব্রাউজিং হিস্টরি রেকর্ড করে না।
স্প্লিট টানেল ফিচার আপনাকে সুযোগ দেয় ভিপিএন এর ভিতর কোন ট্রাফিক যাবে সেটা নির্ধারণ করার।
কিল-সুইচ ফিচারটি কানেকশন ডিসকানেক্ট হওয়ার পরও আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
ফ্রি ভার্সন আছে এবং পেইড ভার্সনে আরো বেশি ফিচারস পাওয়া যাবে।
2. ExpressVPN
ExpressVPN আরো একটি ভালো ভিপিএন অ্যাপ। পছন্দ করার মতন অনেক কিছুই আছে এতে। অ্যাপটি অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলী এবং তার পাশাপশি ব্যাবহার করাও সহজ। তবে অ্যাপটি ব্যাবহার করতে সহজ হলেও এতে অনেক অ্যাডভান্সড অপশন আছে।
অ্যাপটি AES ২৫৬ বিট ডেটা এনক্রিপশন সাপোর্ট করে এবং এর স্পিডও অনেক ফাস্ট। অ্যাপটিতে পাবেন কিছু দুর্দান্ত ফিচারস যেমন: এক্সিলেন্ট লোকেশন পিকার, ইনসিকিউর নেটওয়ার্ক ডিটেকশন ও একটি কিল-সুইচ, যেটা আপনার প্রাইভেসি আর সিকিউরিটি আরো জোরদার করে।
ExpressVPN অ্যাপটি ৯৪টি দেশ জুড়ে হাই-স্পিড কানেকশন প্রদান করে এবং তার পাশাপশি এটি ট্যাবলেট, কিন্ডেল এবং অ্যান্ড্রয়েড টিভি বক্স এর সাথেও মানানসই। তাছাড়া অ্যাপটি ১২টি ভাষা সাপোর্ট করে। তাদের ওয়েবসাইটে তাদের আলাদা প্ল্যাটফর্ম এর অ্যাপগুলোর ব্যবহারবিধি নিয়ে ভিডিও দেওয়া আছে তাছাড়া আপনি তাদের সাথে ২৪/৭ লাইভ কথা বলতে পারেন যদি কোনো সমস্যা হয়।
সত্যি বলতে, ExpressVPN একটি অনেক দামী ভিপিএন সার্ভিস। তবে যাদের প্রয়োজন একটা ভালো ভিপিএন অ্যাপ তারা টাকা খরচ করতে সংকোচ করবেন না। তাছাড়া আপনি ৩০ দিনের মানি ব্যাক গ্যারান্টি পাবেন যেটা আপনাকে এই সার্ভিসে টাকা খরচ করার আস্থা দিবে।
ফিচারস:
কিল সুইচ ফিচার থাকায় আপনার ভিপিএন ডিসকানেক্ট হওয়ার পর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
অ্যাপটি ম্যাক্সিমাম ৫ টি ডিভাইসে ব্যাবহার করা সম্ভব।
৯৪টি দেশ জুড়ে এটির সার্ভার আছে এবং সেগুলো হাই-স্পিডের ।
অ্যাপটির ডিজাইন অনেক সুন্দর এবং নরমাল ইউজাররা সহজেই ইউজ করতে পারবেন।
3. NordVPN
এবার আরো একটি জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ভিপিএন নিয়ে কথা বলি। NordVPN ইতিমধ্যে গুগল প্লেতে ১০ মিলিয়নের অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। ভিপিএন সার্ভিসটির ৬০টি দেশে ৫০০০ এর বেশি সার্ভার আছে। এবং এর স্পিডও অনেক ভালো।
অ্যাপটিতে আপনি সকল নরমাল ভিপিএন ফিচারস পেয়ে যাবেন। এটাতে থাকবে একটা কুইক কানেক্ট বাটন দ্রুত ভিপিএন কানেকশন পাওয়ার জন্য, সার্ভিসটির কোনো লগ রেকর্ডিং পলিসি নেই এবং এতে থাকবে আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য।
NordVPN এর এক্সটেনশন আপনি উইন্ডোজ বা ম্যাকে ফায়ারফক্স ও ক্রোম ব্রাউজারে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া এর ডেস্কটপ এর জন্য আলাদা অ্যাপ আছে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটিতে একটা ফিচার আছে ডাবল ভিপিএন নামে যেটা কিনা দুটো আলাদা সার্ভারে কানেক্ট হয় একটার বদলে ফলে আপনার সিকিউরিটিও বেড়ে যাবে।
NordVPN অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেস অনেক সরু এবং এতে কোনো অ্যাডভান্সড ফিচারস নেই তবে ডেস্কটপ অ্যাপে আছে। এটার একটি ফিচার আছে যেখানে কোনো WiFi নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হলে আপনার ডিভাইস সয়ংক্রিয়ভাবে NordVPN এর সাথে কানেক্ট হয়ে যাবে। অ্যাপটির দাম যথাযথ তবে আপনি এর ট্রায়াল ভার্সন ৭ দিনের জন্য ব্যাবহার করতে পারবেন।
ফিচারস:
সিম্পল এবং ইজি-টু-ইউজ ইন্টারফেস বিদ্যমান।
৩০ দিনের মানি ব্যাক গ্যারান্টি আছে।
৬০ টি দেশে ৫০০০ এর অধিক সার্ভার আছে এবং এর স্পিড যথেষ্ট ফাস্ট।
ডাবল ডেটা এনক্রিপশন এবং ২৪/৭ সাপোর্ট প্রদান করে।
4. Surfshark
সাম্প্রতিক সময়ে Surfshark ভিপিএন প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হলো এর অস্থির সার্ভিস মূল্য। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অ্যাপটির কোয়ালিটিতে কোনো অসম্পূর্ণতা আছে। অ্যাপটি গুগল প্লেতে ১ মিলিয়নের অধিক বার ইনস্টল করা হয়েছে।
অ্যাপটি অন্যান্য ভিপিএন অ্যাপ থেকে যেই দিকে আলাদা সেটা হলো এর মোবাইল অ্যাপ এর ইন্টারফেস ডেস্কটপ অ্যাপের ইন্টারফেস থেকে কিঞ্চিৎ আলাদা। প্রায় সব ফিচারস এতে আছে। এর কারণ হতে পারে এর ডেস্কটপ অ্যাপের যেই সিম্প্লিসিটি আছে সেটা মোবাইল অ্যাপে আনতে ডেভেলপারদের অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়নি।
অ্যাপটিতে আপনি অনেক ভালো ভালো সিকিউরিটি ফিচারস পাবেন– কিল সুইচ, স্প্লিট টানেলিং এবং একটি ম্যালওয়্যার ব্লকার। আপনার যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে অ্যাপটি থেকেই সাপোর্ট টিকেট সাবমিট করতে পারবেন। তবে বস্তুত সেটা দরকার হবে না কারণ অ্যাপটি অনেক বেশি সহজ ব্যাবহার করা।
আর আপনি যদি এই ভিপিএন সার্ভিসটি আপনার ল্যাপটপ বা টিভি স্ট্রিমিং বক্সে ব্যাবহার করতে চান তাহলে সেটাও পারবেন। আর আপনি অবশ্যই জেনে অনেক বেশি খুশি হবেন যে একবার একটি ডিভাইসে দিয়ে এর সাবস্ক্রিপশন কিনলে আনলিমিটেড ডিভাইসে এর ভিপিএন ব্যাবহার করা যাবে!
ফিচারস:
এই ভিপিএন সার্ভিসটির সাবস্ক্রিপশন এর প্রাইসগুলো অনেক আকর্ষণীয়।
আনলিমিটেড ডিভাইসের মধ্যে ব্যাবহার করা সবে একবার সাবস্ক্রিপশন কেনার পর।
অ্যাপটির ডিজাইন এর ডেস্কটপ ভার্সনের মতই এবং প্রায় সকল ফিচারস আছে।
অ্যাপটিতে একটা আলাদা ম্যালওয়্যার ব্লকার আছে।
5. Tunnelbear VPN
Tunnelbear একটি ফ্রি ভিপিএন অ্যাপ এবং এর ইউজার ইন্টারফেস এর মধ্যে ভাল্লুক নিয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কারণ এর নামেই আছে বিয়ার। এই ভিপিএন সার্ভিসটি অনেক দ্রুত স্পিড প্রদান করে। এবং এর প্রাইভেসি সিকিউরিটি ফিচারস এর জন্য এটি থার্ড-পার্টি ফাংশনালিটি কাজে লাগায়।
অ্যাপটি কোনো আইপি লগিং রাখে না এবং আপনি যেই সাইট ব্রাউজ করেন না কেন সেটার তথ্য রাখে না আর কারও সাথে শেয়ারও করে না। অ্যাপটি ২৫৬ বিটের এনক্রিপশন সাপোর্ট করে। এবং এর সার্ভার ২২ টিরও অধিক দেশে আছে।
Tunnelbear ভিপিএন কিল সুইচ ফিচার সাপোর্ট করে ফলে আপনার কানেকশন যাওয়ার পর সকল তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। অ্যাপটিতে থাকা সার্ভার গুলো একটি ম্যাপের মধ্যে দেখায় এবং আপনি যেকোনো সার্ভারে ক্লিক করে আপনার বিয়ার টানেল বানাতে পারবেন। আর যখনই আপনার কানেকশন সফল হবে তখন আপনি ভাল্লুক এর আওয়াজ শুনতে পারবেন।
Tunnelbear ভিপিএন অ্যাপটি আপনি ফ্রিতে ব্যাবহার করতে পারবেন তবে সেখানে মাসিক ৫০০ এমবির লিমিট থাকবে। প্রিমিয়াম প্ল্যানে WiFi ভিপিএন এর সাথে আনলিমিটেড ডাটার অপশন আছে। পেইড ভার্সন ইউজ করলে ৩.৩৩$ মাসে বা ৪০$ এক বছরে দিতে হবে যেখানে আপনি ৫ টি ডিভাইসে আনলিমিটেড ডেটা ব্যাবহার করতে পারবেন।
ফিচারস:
২৫৬ বিটের এনক্রিপশন সাপোর্ট করে বলে ডেটা সুরিক্ষত থাকবে।
অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেস অনেক সিম্পল এবং এক ট্যাপ এ যেকোনো সার্ভার এ কানেক্ট করা যাবে।
আপনার অনলাইন অ্যাক্টিভিটি বা ব্রাউজিং হিস্টরি রেকর্ড করে না।
ফ্রি ভার্সনে প্রতি মাসে ৫০০ এমবি ফ্রি ভিপিএন ডাটা পাওয়া যাবে।
6. IPVanish
এই ভিপিএন অ্যাপটির কথা আপনি নাও শুনতে পারেন। তবে এটিও একটি ভালো ভিপিএন অ্যাপ। অ্যাপটিতে থাকবে কিছু ভিন্নধর্মী ও দরকারি ফিচারস। যেমন: স্প্লিট টানেলিং । অ্যাপটি গুগল প্লেতে ১ মিলিয়নের অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
অ্যাপটিতে পূর্বে একটি ফিচার অনুপস্থিত ছিল যেটা হলো কিল-সুইচ। এই ফিচারটা আপনার ভিপিএন কানেকশন ড্রপ হলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয় যাতে করে আপনার আসল আইপি প্রকাশ না হয়।
IPVanish ২৫৬ বিটের AES এনক্রিপশন সাপোর্ট করে। এবং এটি আরো জিরো লগ পলিসি সাপোর্ট করে তার সহিত এর স্পিডও অনেক বেশি ভালো। OpenVPN প্রটোকলে এটি চলে। ভিপিএনটির কাস্টমার সাপোর্ট ২৪/৭। তাই কোনো সমস্যা হবে না।
তবে যেই জিনিসটার কারণে লোকেরা এইটা উপেক্ষা করেন সেটা হলো এর মূল্য। এর কোনো ফ্রি ট্রায়াল নেই তবে তিনটি বিদ্যমান প্ল্যানে ৭ দিনের মানি ব্যাক গ্যারান্টি আছে। তিনটি সাবস্ক্রিপশন প্যাক এর মধ্যে ১ বছরের প্যাকেজ টা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
ফিচারস:
কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় ভিপিএন টুল আছে।
ভিপিএন সার্ভিসটির স্পিড অনেক ভালো এবং স্পিড লিমিটেশন নেই।
২৪ ঘণ্টা ৭ দিন সাপোর্ট পাবেন এবং সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
সম্প্রতি কিল সুইচ ফিচারটি যোগ করা হয়েছে।
7. Freedome VPN
এই অ্যাপটির নাম শুনে আপনার স্বাধীনতার কথা মনে পড়ে যাবে যদিও অ্যাপটি ভিপিএন এর জন্য বানানো। এই ভিপিএনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানF-secure। ভিপিএন টি আপনার ডেটা লগ করে না এবং তার পাশাপশি রেজিস্টার করা ছাড়া একটা ভিপিএন একাউন্ট তৈরির সুযোগ দেয়।
অ্যাপটির যেকোনো সার্ভারে গোপনীয়তা রক্ষা করে কানেক্ট করতে পারবেন। তাছাড়া অ্যাপটি আপনার ডেটা এনক্রিপ্ট করে তাই আপনার সিকিউরিটি এক ধাপ ওপরে গেলো। এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি অনেক সিম্পল এবং একবার ওপেন করে একটা বড়ো বাটনে ক্লিক করে ভিপিএন অফ বা অন করতে পারবেন।
অ্যাপটিতে কিল সুইচ ফিচারটি আছে তাই ভিপিয়েন ড্রপ হলে আপনার আইএসপি এক্সপোজ হবে না। এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শুধু যে ভিপিএন বানায় তা না তারা অনেক অ্যান্টিভাইরাসও বানায় ম্যালওয়্যার এবং ক্ষতিকর ওয়েবসাইট থেকে রক্ষা করার জন্য।
আপনি এই ভিপিএন সার্ভিস টির অ্যাপ ৫ দিনের জন্য বিনামূল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন। তারপর এইটা প্রতিবছর ৩৫$ দিয়ে ৩ টা, ৭০$ দিয়ে ৭ টা এবং ৯০$ দিয়ে ২ বছরের জন্য ৭ টি ডিভাইসে ব্যাবহার করতে পারবেন।
ফিচারস:
অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার ছাড়া ভিপিএন অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেয়।
ভিপিএন অ্যাপটির ইন্টারফেস সিম্পল এবং সহজেই ব্যবহারযোগ্য।
অ্যাপটি কিল-সুইচ ফিচার সাপোর্ট করে তাই কানেকশন ড্রপে কোনো চিন্তা নেই।
আপনার ডেটা লগ করে না তাই সিকিউরিটি ভালো।
8. Private Internet Access
লিস্টের ৮ম সেরা ভিপিএন অ্যাপটি হলো Private Internet Access। অ্যাপটি গুগল প্লেতে ইতিমধ্যে ১ মিলিয়নের অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। এই ভিপিএন অ্যাপটি সিম্পল এবং সহজে ব্যাবহার করা যাবে তার সাথে থাকবে টুইক করার মত প্রচুর অপশন।
এতে আপনি পাবেন প্রক্সি সাপোর্ট, UDP ও TCP প্রোটোকল সেটিংস, আপনি রিমর্ট এবং লোকাল পর্ট নির্ধারণ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি কাস্টম এনক্রিপশন এবং হ্যান্ডশেকিং পদ্ধতি বাছাই করতে পারবেন এমনকি ডিভাইসটি ভাইব্রেট করাতে পারবেন যখন আপনি ভিপিএনে কানেক্টেড হবেন।
পূর্বে বলা হয়েছে যে, অ্যাপটি অনেক সিম্পল; স্ক্রিনের মাঝখানে একটা বড়ো অন/অফ বাটন পাবেন কানেকশন অফ বা অন করার জন্য এবং যেই এলাকায় কানেক্ট করবেন সেটা স্ক্রিনের নিচে দেখাবে। ভিপিএন টির পারফরম্যান্সও ভালো এবং এর প্রাইভেসি পলিসিও পরিষ্কার ও স্পষ্ট।
অ্যাপটিতে আপনি কোনো ফ্রি ট্রায়াল পাবেন না। তবে আপনি যেই সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান বাছাই করেন না কেন এর প্ল্যান গুলো অনেক বেশি অ্যাফরডেবল। তবে ২ বছরের প্ল্যানটি আপনার জন্য শ্রেয় হবে।
ফিচারস:
অ্যাপটি সহজেই ব্যাবহার করা যাবে এবং একটা বড়ো অন/অফ বাটন দিয়ে ভিপিএন অন/অফ করা যাবে।
আপনি কাস্টম এনক্রিপশন ও হ্যান্ডশেকিং মেথড বাছাই করতে পারবেন।
ভিপিএনটির স্পিড অনেক ভালো এবং আপনি অনেক সার্ভারে কানেক্ট করতে পারবেন।
পোর্ট ফরওয়ার্ডিং ও প্রক্সি সাপর্টসহ অনেক কিছু আছে।
9. VyprVPN
VyprVPN নামক ভিপিএন অ্যাপটি নির্মাণ করেছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন ফ্রগ। এই অ্যাপটির ভালো সিকিউরিটি ও অনলাইনে প্রাইভেসি দেওয়ার জন্য অনেক সুনাম আছে। এটি এর সার্ভিসগুলোর জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের কাছে নির্ভর করে না। এটা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
এই ভিপিএনটি আপনার ডেটা শেয়ার করে না এবং কেবল আইপি অ্যাড্রেস, কানেকশন টাইম ও ৩০ দিনের ব্যাবহৃত মোট এমবির লগ রাখে। অ্যাপটি ৭০ টি সার্ভার লোকেশন প্রদান করে এবং ২৫৬ বিটের এনক্রিপশন সাপোর্ট করে। তাছাড়া এতে ২০ লক্ষ্য আইপি আছে ৭০টি দেশ ও ৬টি মহাদেশ জুড়ে। আপনি যেকোনো জায়গা থেকে ব্রাউজ করতে পারবেন।
এই সব অস্থির কাজগুলো এটি এর নিজস্ব Chameleon টেকনোলজি ব্যাবহার করে সম্পন্ন করে। ভিপিএনটি অন্য কোন দেশ থেকে কন্টেন্ট স্ট্রিম করা আর আর জিও রেস্ট্রিকশন ভেঙে ফেলার জন্য অনেক কার্যকরী। অ্যাপটিতে আপনার পছন্দ অনুসারে অটোমেটিক কানেক্ট হয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে– যখন আপনি কোনো সন্দেহভাজন পাবলিক WiFi তে কানেক্ট হবেন।
ভিপিএন সার্ভিস টির একাউন্ট খুলতে ১৩$ বাংলাদেশী টাকায় ১১০০ টাকার মতো লাগবে। কিন্তু আপনি ৩ দিনের ফ্রি ট্রায়াল কোনো বিজ্ঞাপন ছাড়া সহজে ব্যাবহার করতে পারবেন।
ফিচারস:
বিশ্বের ৭০০টি সার্ভারে বিস্তৃত ৭০টি সার্ভার লোকেশন প্রদান করে।
আপনার ব্যাক্তিগত পছন্দ অনুসারে অ্যাপটি ভিপিএন সেটিংস কনফিগার করে।
৭০টি দেশ ও ৬ টি মহাদেশ বিস্তৃত ২০ লক্ষ্য আইপি অ্যাড্রেস আছে।
৩ দিনের বিজ্ঞাপনবিহীন ট্রায়াল ব্যাবহার করতে পারবেন।
10. Open Connect
আজকেরলিস্টের আসলে ফ্রি ও শেষ ভিপিএন হলো Open Connectযা অ্যান্ড্রয়েডে থাকা নির্দিষ্ট সংখ্যক ভালো মানের আসলে ফ্রি ভিপিএন অ্যাপগুলোর একটি। তার উপর এটি ওপেন সোর্স, যা এরকম একটা সিকিউরিটি অ্যাপের জন্য এটি একটা অত্যন্ত ভালো দিক।
লিস্টের প্রত্যেকটি ভিপিএন অ্যাপগুলোতে খালি একটাই কাজ দরকার কানেক্ট করো আর ভুলে যাও। তবে এই অ্যাপটিতে কানেকশন এর জন্য একটু অভিজ্ঞতার দরকার হয়। যেটা কিনা একটা শিক্ষার আগ্রহ তৈরি করে। আপনি .ovpn প্রোফাইল ইমপোর্ট করতে পারবেন এবং আরো অনেক অ্যাডভান্সড ফিচার নিয়ে খেলতে পারবেন।
এই ভিপিএন টি PolarSSL ব্যাবহার করে। অ্যাপটি সিকিউরিটির জন্য ভালো। আপনার যদি আসলেই একটা ভিপিএন এর সব কিছু নিয়ে জানতে ও নিজে সব কিছু করতে ইচ্ছা করে তাহলে এই অ্যাপটা ট্রাই করতে পারেন। অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ইচ্ছেমত ব্যাবহার করা যাবে।
ফিচারস:
একেবারেই বিনামূল্যে ইনস্টল করে ইচ্ছেমত কনফিগার করা যাবে।
এটি ওপেন সোর্স বলে এতে প্রতিনিয়ত অনেক বেশি ফিচারস অ্যাড হবে।
ভালো সিকিউরিটি এবং অনেক অ্যাডভান্সড অপশন আছে।
কোনো প্রিমিয়াম প্ল্যান নেই তাই কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।
মতামত
আশা করি আপনাদের আজকের এই সেরা অ্যান্ড্রয়েড ভিপিএন এর লিস্ট নিয়ে আর্টিকেল টি ভালো লেগেছে। আমার ব্যাক্তিগত পছন্দ হলো Surfshark ভিপিএন। কারণ এইটার প্রাইস খুব কম এবং আনলিমিটেড ডিভাইসে ব্যাবহার করা যাবে।
আপনার কোনো ভিপিএনটি ভালো লাগলো ? আপনি আপনার ফোনে কোন ভিপিএন ব্যাবহার করে ? কমেন্টে জানান। আর আমাদের আর্টিকেল টি শেয়ার করে দিন। সবার মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমরা স্প্যাম ঘৃণা করি!