আপনার খুব সম্ভবত মাথা খারাপ হয়ে যায় যখন আপনি হাজার বার চেষ্টা করেও একটা ভালো মনের মত ছবি তুলতে পারেন না। ছবিটিতে কিসের অভাব থাকতে পারে ? হতে পারে এটা কালার, ব্রাইটনেস কিংবা স্যাচুরেশন। কিন্তু ছবিটিতে যা কিছুরই অভাব থাকুক না কেনো সেটা একটা ফটো এডিটর অ্যাপ দ্বারা ঠিক করা যায়।
বর্তমান সময়ে মোবাইল ইউজাররা সবচেয়ে বেশি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যাবহার করে। কারণ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সহজলভ্য। এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি একটি ওপেন-সোর্স প্রজেক্ট। ফলে যে কেউ সেটা ব্যাবহার করতে পারে। এবং ব্যাবহার করার জন্য কোনো প্রকার টাকা দেওয়া লাগে না।
অ্যান্ড্রয়েড সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মোবাইল ওএস হওয়ায় গুগল প্লে তে হাজারো রকমের ফটো এডিটিং অ্যাপস আছে। এতগুলি ফটো এডিটর এর মধ্যে কোনটা সবচেয়ে বেশি ফিচারস অফার করে আর আপনার ছবিকে আরো বেশি প্রানবন্ত করে তুলে সেটা খুঁজে বের করা অনেক বেশি মুশকিল এবং সময়সাপেক্ষ।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনার কষ্ট কমিয়ে দিতে সংকলন করেছি ২০২০ সালের সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ এর লিস্ট। এই অ্যাপ গুলো আপনাকে আপনার তুলা ছবির উপর এত বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রদান করবে যে আপনি ছবির ক্লালার থেকে শুরু করে ছবির ত্রিমাত্রিক দিক পর্যন্ত পরিবর্তন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন:
সেরা ২০ অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ [২০২০]
বিঃদ্রঃ আজকের এই সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটর ২০২০ লিস্টে থাকা প্রত্যেকটি অ্যাপ আপনি গুগল প্লে কিংবা অ্যাপ স্টোরে পেয়ে যাবেন। অ্যাপগুলো ব্যাবহার করার জন্য কোনো প্রকার টাকা দিতে হবে না কিন্তু ফ্রি ভার্সনের মধ্যে বিজ্ঞাপন আছে। তাছাড়া লিস্টের কিছু অ্যাপগুলোর বিশেষ বিশেষ ফিচার ব্যাবহার করার জন্য টাকা দেওয়া লাগে। alert-info
1. Photoshop Express
আমাদের আজকের সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটর অ্যাপ লিস্টের সর্বপ্রথম অ্যাপটি হচ্ছে Adobe Photoshop Express, যা কিনা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফটো এডিটিং অ্যাপ। এর সিম্পল ইন্টারফেস এবং ফিচারস এর জন্যে এটি নিঃসন্দেহে সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটর গুলোর একটি।
এর মধ্যে সব ব্যাসিক ফিচারস যেমন: ছবি ক্রপ করা, রোটেট করা, রিসাইজ করা ইত্যাদিসহ আরো অনেক কিছু রয়েছে। অ্যাপটি ব্যাবহার করা অনেক সহজ এবং এটি ফ্রিতে ডাউনলোড করা যাবে। এর কিছু ফিচারস কেবল মাত্র তখনই ব্যাবহার করা যাবে যখন আপনি অ্যাডোব আইডি দিয়ে সাইন ইন করবেন অ্যাপটিতে।
ফিচারস:
- এক ক্লিকে ছবি থেকে দাগ এবং ময়লা সরানো যাবে।
- এতে ছবিতে লাগানোর জন্য ১৫ টি বর্ডার এবং ফ্রেম আছে যাতে আপনার ছবি একটা আলাদা লুক পায়।
- ছবিতে আপনি সহজেই টেক্সট কিংবা লেখা লাগাতে পারবেন।
- আপনার ছবিতে কুয়াশা এবং আবছায়া থাকলে কমাতে পারবেন।
- এতে অতিরিক্ত ফিল্টার আছে ছবির সাথে মজা করার জন্য।
2. Picsart Photo Studio
আমাদের এই লিস্টে Picsart ফটো এডিটিং অ্যাপটি রাখার একমাত্র কারণ হচ্ছে এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েডের জন্য একটি আল্টিমেট ফটো এডিটিং অ্যাপ। এটি অ্যান্ড্রয়েডে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ফটো এডিটিং অ্যাপ। গুগল প্লেতে এটি ৫০০ মিলিয়নেরও অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
অ্যাপটিতে ব্যাসিক ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে ডাইনামিক লেভেল এর ফটো এডিটিং ও করা সম্ভব। অ্যাপটির কোলাজ মেকার, স্টিকার কাট আউট, নানাবিধ টুলস এবং ক্যামেরা এটা ব্যাবহার করা কে অনেক বেশি মজাদার করে তুলে। অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। তবে এর একটি প্রমিয়াম ভার্সনও আছে, যেটা কিনা টাকা দিয়ে কেনা লাগবে। তবে নিয়ে আসে আরো অনেক স্টিকার, ফ্রেমস এবং ফন্টস।
ফিচারস:
- অ্যাপটির কোলাজ মেকার আপনাকে ১০০ এরও বেশি ফ্রি টেমপ্লেট দিবে।
- অ্যাপটির ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা পানি লাইভ ফিল্টার দিয়ে ছবি তুলতে পারবেন।
- অ্যাপটির কাট আউট টুল দ্বারা পানি স্টিকার বানাতে পারবেন এবং সেটি শেয়ারও করতে পারবেন।
- অ্যাপটিতে কালার এডজাস্ট করার জন পাবেন একটা কালার কার্ভ।
- Picsart Draw তে রয়েছে অনেকগুলো কাস্টোমাইজেবল ব্রাশ এবং ছবি আঁকার টুল।
3. PhotoDirector
PhotoDirector অ্যাপটি সাইবারলিংক কোম্পানির একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য। এটি অ্যান্ড্রয়েডের মধ্যে সবচেয়ে ইউজার ফ্রেন্ডলি ফটো এডিটিং অ্যাপগুলোর একটি। তাই আপনি সহজেই আপনার ছবি এডিট করতে পারবেন।
এতে আপনি সকল ব্যাসিক ফিচারস পাবেন যেগুলো নরমাল ফটো এডিটরে থাকে তার পাশাপশি আরো অনেক ফিচারস পাবেন। এতে আপনি পাবেন একটি ইন বিল্ট ক্যামেরা অ্যাপ যাতে আপনি ছবিতে লাইভ ইফেক্ট লাগাতে পারবেন। আপনি ছবি এডিট করে সরাসরি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ারও করতে পারবেন।
ফিচারস:
- আপনার ছবির কালার উন্নত এবং এডজাস্ট করতে পারবেন ইমেজ এডিটিং টুল গুলো দিয়ে।
- ফটো রিটাচ টুল দ্বারা আপনি কল্পনাময় ফটো ইফেক্ট তৈরী করতে পারবেন।
- আপনার ছবির এইচডিআর ইফেক্ট এডজাস্ট করতে পারবেন।
- যেখানে ইচ্ছা সেখানে ফটো ইফেক্ট লাগাতে পারবেন।
4. Snapseed
Snapseed গুগল এর তরফ থেকে একটি ফ্রি এবং সিম্পল ফটো এডিটিং অ্যাপ। এতে পাবেন অনেক পাওয়ারফুল ফটো এডিটিং টুলস। এটিও অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য সেরা ফটো এডিটর গুলোর একটি। আর হ্যাঁ, এতে নাই কোনো বিজ্ঞাপন। এটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন মুক্ত এর কোনো প্রো ভার্সনও নেই।
যেই কারণে এটি আপনার জন্য একটি সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ হতে পারে সেটি হচ্ছে যে এতে আপনি অনেক ফিল্টার পাবেন ছবিতে লাগানোর জন্য। এটি ব্যাবহার করা অনেক সহজ এবং এর টুলগুলো আপনার কাজ আরো সহজ করে দিবে। এতে আরো থাকবে ডার্ক মোড।
ফিচারস:
- আপনি অবিকলভাবে আপনার ইমেজ টিউন করতে পারবেন।
- অ্যাপটিতে ছবি ক্রপ করা, রোটেট করা, ফ্রেম লাগানো, ফন্ট রিসাইজ করা অনেক সহজ
- ছবির কালার এডজাস্ট করতে পারবেন নানবিধ টুল দ্বারা।
- ছবি থেকে অপ্রয়জনীয় বস্তু হিলিং টুল দ্বারা রিমুভ করতে পারবেন।
- ছবিতে কারো মুখ থাকলে মুখ ছোট বা বড়ো করা, চোখ বড়ো বা ছোট করা সহ আরো অনেক কিছু করতে পারবেন।
5. AirBrush
এই অ্যাপটি উপযুক্ত ফটো এডিটিং টুল দ্বারা ঠাসা এবং এটি অ্যান্ড্রয়েড এর সেরা ফটো এডিটর হওয়ার দাবি রাখে। এর ইউজার ফ্রেন্ডলি এডিটিং টুলস এবং অসাধারণ ফিল্টারগুলি আপনার আপনার ছবিকে একটা আলাদা রূপ প্রদান করে। এর জন্যই এই AirBrush অ্যাপটিকে আমাদের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ এর লিস্টে রেখেছি।
এইটা যেই সেই ফটো এডিটিং অ্যাপ না। সেই সমস্ত অ্যাপগুলো থেকে এটি একটা পরিষ্কার পার্থক্য বজায় রেখেছে। এর প্রত্যেকটি ফিচার আপনাকে আকর্ষিত করবে। আপনি যদি এমন এক জন জন যিনি কিনা নিজের মুখ থাকা ছবি গুলো এডিট করতে পছন্দ করেন তাহলে এই অ্যাপটি আপনার জন্য পারফেক্ট।
ফিচারস:
- এই অ্যাপটি দ্বারা পানি ছবিতে থাকা পিম্পল, দাগ দূর করতে পারবেন এর ব্লেমিশ এডিটর টুল দ্বারা।
- আপনি আপনার দাঁত সাদা করতে পারবেন এবং স্কিনকে পারফেক্ট কালার দিতে পারবেন।
- ব্লার এডিটিং টুল দ্বারা আপনি প্রত্যেকটি ছবি রিটাচ করে সেখানে আরো ডেপথ আনতে পারবেন।
- এর বিউটি ফিল্টারস এমন ভাবে ডিজাইন করা যাতে এটি আপনার ছবিকে আকর্ষণীয় করে তুলে।
6. YouCam Perfect
YouCam Perfect আপনার ফোনের জন্য ভালো ফটো এডিটিং অ্যাপগুলোর একটি। এটি একটি সুবিধাজনক ফটো এডিটিং অ্যাপ যেখানে আপনি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিজের ছবি এডিট করতে পারবেন।
অ্যাপটিতে আপনি ছবি এডিট করতে পারবেন, সেগুলো আরো সুন্দর করতে পারবেন এবং ছবিতে ফ্রেম এবং কোলাজ বানাতে পারবেন একটা সম্পূর্ণ টুলকিট এর সাথে। এই অ্যাপটি ব্যাবহার করে সেলিফেও তুলা যাবে। তাছাড়া, অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা সম্ভব।
ফিচারস:
- ছবির সাথে ইচ্ছেমত খেলতে পারবেন– ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার, ফরগ্ৰাউন্ড ব্লার, ক্রপ করা, রিসাইজ করা ইত্যাদি।
- আপনার ছবিতে কারো মুখ থাকলে রিসেপ এবং স্কিন স্মুথ করা যাবে। তাছাড়া আই ব্যাগ রিমুভার দ্বারা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা যাবে।
- অবজেক্ট রিমুভাল ব্যাবহার করে আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড কিংবা এমন কিছু যেটা ছবিতে মানায় না সরাতে পারবেন।
- স্মাইল ফিচার দ্বারা আপনার মুখে একটা সুন্দর হাসি আনতে পারবেন।
- ম্যাজিক ব্রাশ ব্যাবহার করে আপনার ছবিতে অনেক সুন্দর স্টিকার লাগাতে পারবেন।
আমাদের লিস্টে থাকা আরেকটি অসাধারণ ফটো এডিটিং অ্যাপ হলো Pixlr। এই অ্যাপটি পূর্বে পরিচিত ছিল Pixlr Express নামে। এটি অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য জনপ্রিয় ফটো এডিটিং অ্যাপগুলোর একটি। এই অ্যাপটির ব্যাপারে সেরা জিনিস এর ফিচারস অনেক সুবিধাজনক।
গুগল প্লে তে কিছু ফটো এডিটিং অ্যাপস আছে যেগুলোর অনেক ফিচারস কেউ কখনো ব্যাবহার করেনা। দেখা গেলো একজন এরকম একটা অ্যাপ ইনস্টল করে সেই ফিচারস গুলো ইউজ করলো না। এতে সেগুলো হয় ফালতু। কিন্তু এই অ্যাপটির প্রত্যেকটি ফিচার অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
ফিচারস:
- ছবির যেকোনো একটি কালারে ফোকাস করার জন্য আছে কালার স্প্ল্যাশ। আবার ফোকাল ব্লার দ্বারাও ছবিতে প্রভাব ফেলা যাবে।
- ইফেক্ট অ্যাড করার ক্ষেত্রে আপনার কাছে অনেকগুলো অপশন থাকবে।
- যেই ইফেক্ট গুলো সর্বোচ্চ ব্যাবহৃত হয় সেগুলো ফেভারিট বাটনে দেখাবে।
- এই অ্যাপ দিয়ে নিমিষেই ফটো রিসাইজ করা সম্ভব।
- অনেক গুলো ফন্ট ব্যাবহার করে ছবিতে টেক্সট বা ক্যাপশন যোগ করতে পারবেন।
- আপনার এডিট করা ছবি সহজে ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতে পারবেন।
8. Toolwiz-Photos Pro Editor
অ্যাপটির নাম যেমন বড় এর মধ্যে থাকা ফিল্টার এর সংখ্যাও অনেক। এতে আপনি পাবেন ২০০ এরও অধিক টুলস। Toolwiz সতিই অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য একটি বেস্ট ফটো এডিটর। এই অ্যাপটি ছবির কালার এডজাস্ট করা, ফিল্টার লাগানো এবং কোলাজ বানানোতে ভালো। অ্যাপটি গুগল প্লে থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে এবং যেকোনো ফটো এডিটর কে এটি ভালো কম্পিটিশন দিতে পারে।
ফিচারস:
- বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে এবং অনেক সহজেই ব্যাবহার করা সম্ভব।
- এতে আছে অনেক ধরনের ভিন্ন, ভিন্ন ফিল্টার। এবং প্রত্যেকটি অসাধারণ।
- অ্যাপটির ইন্টারফেস স্টাইলিশ, সুন্দর হলেও অনেক বেশি সিম্পল।
- ব্যাসিক থেকে ডাইনামিক ফটো এডিট করার সকল টুল উপস্থিত।
9. Photo Lab
আপনি যদি চান আপনার ছবিটি সম্পূর্ণ একটা আলাদা লুক দিয়ে সকলের মাঝে আলাদা করে তুলবেন তাহলে PhotoLab অ্যাপটি আপনাকে এ ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এটিও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপগুলোর একটি। প্রাণ ৯০০টি ভিন্ন ইফেক্টস থাকার কারণে এটি সহজেই আমাদের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ এর লিস্টে জায়গা করে নিয়েছে। আর এতে সকল ব্যাসিক ফটো এডিটিং টুল তো থাকছেই।
ফিচারস:
- ছবিতে ভিন্ন ধরনের ফিল্টার যেমন: নিওন গ্লো, ওয়েল পেইন্ট ব্যাবহার করতে পারবেন।
- অ্যাপটির ইন্টারফেস সিম্পল এবং মানানসই তাই আপনি সহজেই অ্যাপটির কার্যকলাপ জানতে পারবেন।
- আপনার ছবির জন্য আপের ফ্রেমগুলো থেকে সেরা ফ্রেম বেছে নিতে পারবেন।
- ছবিতে 'ফেস ফটো মনাটাজ' ফিচার দিয়ে সহজেই আপনার মুখকে পরিবর্তন করে অন্য কিছু বানাতে করবেন।
- অ্যাপটির ফিল্টার এত বেশি বাস্তবিক যে আপনি অ্যাপটি বারবার ব্যাবহার করবেন।
10. VSCO Cam
যদিও VSCO Cam অ্যাপটি একটা পেইড অ্যাপ হিসেবে এর যাত্রা শুরু করে তবে এখন এটা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। এই অ্যাপটির মধ্যে থাকা ফিল্টারগুলি অন্যান্য অ্যাপগুলোর ফিল্টার থেকে অনেক বেশি ভালো। তবে কিছু ফিল্টার টাকা দিয়ে কিনতে হয়। এই অ্যাপটি আপনাকে রেকমেন্ড করার একটি কারণ এই অ্যাপটিতে অনেক ফিচারস আছে যেগুলো আপনার ছবিকে আরো বেশি সুন্দর করে।
ফিচারস:
- ছবি এডিট করার জন্য এতে আগে থেকেই প্রিসেট বানানো আছে।
- অ্যাপটি ব্যাবহার করা অনেক সহজ এর ইউজার ফ্রেন্ডলি ইউআই এর জন্য।
- VSCO Membership নিয়ে আরো বেশি প্রিসেট এবং টুল ব্যাবহার করতে পারবেন।
- এতে আপনি টুল পাবেন– ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্টমেন্ট, শ্যাডো, হাইলাইট, ক্রপ ইত্যাদি।
11. Google Photos
আমরা সবাই Google Photos ব্যাবহার করি। যদিও আমরা এটাকে ফটো গ্যালারি হিসেবে ব্যাবহার করি তারপরও এটি একটি ভালো ফটো এডিটিং অ্যাপ। ফটোগ্রাফার দের জন্য এটি একটি ভালো অ্যাপ। আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার হন তাহলে এই অ্যাপটি আপনার ছবিগুলো গুছিয়ে রাখবে না অর্গানাইজড করবে।
Google Photos অ্যাপটি ব্যাবহার করায় আপনি পাবেন আনলিমিটেড ফ্রি ফটো স্টোরেজ। যেখানে আপনি আপনর ফটো আর ভিডিও বিনামূল্যে গুগলের ক্লাউড এ রাখতে পারবেন। এছাড়া এতে পাবেন কিছু অ্যাডভান্সড এডিটিং টুল যেগুলো আপনাকে আরো ভালো ভাবে ছবি এডিট করতে পারবেন। তার উপর এই অ্যাপটি একদম বিনামূল্যে ইন্সটল করা যাবে।
ফিচারস:
- অ্যাপটি আপনাকে সয়ংক্রীয়ভাবে ছবি থেকে অ্যানিমেশন, কোলাজ, মুভি বানিয়ে দেবে। চাইলে আপনি নিজেও বানাতে পারেন।
- এর অ্যাডভান্সড এবং শক্তিশালী টুল গুলো ব্যাবহার করে আপনি আপনার সৃজনশীলতা দেখতে পারবেন।
- অ্যাপ থেকেই আপনার ছবি ফোন নাম্বার বা ইমেইলে পাঠাতে পারবেন।
- আপনার ছবি হারানোর চিন্তা থাকবে না কারণ ছবিগুলো সয়ংকৃয় ভাবে ব্যাকআপ হয়ে যাবে।
12. Fotor Photo Editing App
আমাদের লিস্টে থাকা অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য সেরা ফটো এডিটর গুলোর একটি হলো Fotor কিন্তু এটা এখানেই শেষ নয়। এইটা এমন একটা অ্যাপ যেখানে আপনার ছবিতে লাইসেন্স লাগানো যাবে এবং ফটোগ্রাফাররা তাদের ছবিতে মনেটাইজেশনও করতে পারবেন। তাই এই অ্যাপটি দুটো কাজ একসাথে করছে। লাইসেন্স এর ব্যাপারে আরেকটু বলি আপনার ছবির লাইসেন্স করতে পারবেন PxBee এর সাথে। এটা Fotor কমিউনিটি কে একসাথে জুড়েছে।
ফিচারস:
- বিশাল পরিমাণ ইফেক্টস এবং ফিল্টার যোগ করা যাবে।
- নানান ধরনের কোলাজ টেমপ্লেট আছে আপনার ছবিকে অনবদ্য করে তুলতে।
- স্টিকার, ফন্ট, বর্ডার এবং ফ্রেম আপনার ছবিতে নতুন ডিজাইন আনবে।
- অনেক সুবিধাজনক ফটো এডিটর এবং এতে আছে একটি চমৎকার ইন্টারফেস।
- সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।
13. Retrica
অ্যান্ড্রয়েডের জন্য একটি সেরা ফটো এডিটর Retrica। এতে কোনো টুল কম নেই যার কারণে একে আমাদের লিস্টে রাখা যাবে না। এর কার্যকর টুল গুলোর কারণে অ্যাপটি সেলফি তুলার জন্য ভালো সেই সাথে নিজের ছবিকে আরো প্রাণবন্ত করাতেও এর জুড়ি আছে। এর সম্মোহিত ফিল্টারগুলি আপনার ছবিকে আরো বেশি সুন্দর করবে।
ফিচারস:
- আপনি অ্যাপটিতে ১০০ এরও বেশি ফিল্টার থেকে পছন্দের ফিল্টার বেছে নিতে পারবেন।
- একাধিক ছবি তুলে সেগুলো দিয়ে কোলাজ বানাতে পারবেন।
- এতে আছে ১০০ এর অধিক স্টিকার আপনার ছবিতে লাগানোর জন্য।
- আপনার তুলা সেলফি ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতে পারবেন।
- আপনার ছবি টুইক করার জন্য পাবেন লক্ষাধিক অপশন।
14. TouchRetouch
এই ফটো এডিটিং অ্যাপ লিস্টের মধ্যে এই অ্যাপটি একটু আলাদা ধরনের। কারণ এই অ্যাপটি দ্বারা আপনার ছবিতে বড়ো কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না। কারণ এই অ্যাপটি একটি বিশেষ কাজ করে আর সেটি হলো আপনার ছবি থেকে ফালতু সব জিনিস সরাতে পারবেন যেগুলো আপনার ছবিকে অসুন্দর করে। মানে আপনার ছবি থেকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র খুঁত সরাতে পারবেন। এই কারণেই অ্যাপটি আমাদের লিস্টে। তবে মাথায় রাখবেন অ্যাপটি আপনি বিনামূল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন ন। কিছু টাকা দিতে হবে। আর এতে কোনো বিজ্ঞাপনও থাকবে না।
ফিচারস:
- ব্লেমিশ রিমুভার দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ছবি থেকে রিমুভ করতে পারবেন।
- ব্যাবহার করা অনেক সহজ এবং আপনি সহজেই ব্যাবহার করা শিখে যাবেন।
- যেসব জিনিস আপনার ছবিকে নষ্ট করে দেয় সেগুলো সরিয়ে আপনার ছবি আরো সুন্দর করতে পারবেন।
15. InstaSize: Photo Editor + Collage
যারা ফটো এডিটিং এর জন্য আগ্রহী তাদের জন্য অনেক ভালো ভালো ফিচারস অফার করে Instasize ফটো এডিটর অ্যাপটি। এটি গুগল প্লেতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফটো এডিটর গুলোর একটি। ছবি এডিট যারা করে তাদের জন্য এই অ্যাপটি মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। এই অ্যাপটিতে যে ফটো এডিটিং করা যাবে শুধু সেটা না ভিডিও এডিটও করা যাবে। অ্যাপটিতে এডিটর অ্যাপের সকল প্রয়োজনীয় ফিচারস সহ পাবেন আরো অনেক কিছু।
ফিচারস:
- অ্যাপটি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং এর ডিজাইন পলিশড ও স্লিক।
- আপনি নানান ধরনের থিমে বানানো ফিল্টার আর বর্ডার লাগাতে পারবেন।
- এডজাস্টমেন্ট স্লাইডার এবং বিউটি ফিল্টার দ্বারা আরো নিখুঁতভাবে ছবি এডিট করা যাবে।
- নিজে টেক্সট লাগাতে পারবেন না প্রিসেট লেআউট থেকে টেক্সট লাগাতে পারবেন।
- অ্যাপটি নিয়মিত আপডেট পায় বলে সবসময় ফ্রেশ থাকে।
16. Flickr
Flickr অ্যাপটির কথা আমরা সবাই শুনে থাকব। কারণ অ্যাপটি ছবি আপলোডিং এর ডাউনলোডিং এর জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। তবে অ্যাপটিকে সবচেয়ে অনবদ্য বানায় হচ্ছে এর ফটো এডিটিং টুল। অর্থাৎ এটি আপনার ছবি সম্পাদন করা থেকে সেটা আপলোড এবং অর্গানাইজ পর্যন্ত কাজ করে দেবে। এর অ্যাডভান্সড ফটো এডিটিং টুল আপনার ছবি এডিট করা আরো সহজ করে দিবে।
ফিচারস:
- আপনার সব ছবি আপলোড করে সেগুলো Flickr Camera Roll এ রাখতে পারবেন।
- ছবির সাথে খেলতে পারবেন অনেক ফিল্টার আর ফ্রেম লাগিয়ে।
- আপনি ছবি ক্রপ করতে পারবেন, রোটেট করতে পারবেন এবং সেগুলো রিসেপ করতে পারবেন সহজে।
- এর ইন্টারফেস অনেক বেশি সিম্পল এবং সহজে ব্যাবহার যোগ্য।
17. Cymera
এটি আরেকটা অ্যাপ যেটা আপনি ডাউনলোড করতে পারেন। এটা যেই সেই সেলফি ক্যামেরা অ্যাপ নয়। এটা অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপগুলোর একটি। এতে আছে একটা বিউটি ক্যাম, অসাধারণ ফিল্টার, স্টিকার এবং অ্যাডভান্সড এডিটিং টুল। সর্বোপরি, এটি গুগল প্লেতে ফ্রি এবং সেরা ফটো এডিটর অ্যাপগুলোর একটি।
ফিচারস:
- এতে আছে এক্সক্লুসিভ মেকআপ টুল যার সাহায্যে মুখের দাগ পিম্পেল দুর করতে পারবেন।
- এতে আছে অসাধারণ বিউটি ফিল্টার মেকআপ ফিল্টারের সাথে।
- ৭ টি আলাদা ক্যামেরা লেন্স আছে এতে। এবং সাইলেন্ট ফিচার দিয়ে কাউকে ডিস্টার্ব না করে ছবি তুলতে পারবেন।
- আপনার এডিট করা ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন।
18. PhotoGrid
PhotoGrid এমন এক ফটো এডিটিং অ্যাপ যেটা কিনা আপনাকে একসাথে অনেক কিছু অফার করে। এই অ্যাপটি ব্যাবহার করে আপনার ছবি গুলো একসাথে করে নানান ধরনের সোশাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করতে পারবেন। কিন্তু এটা কেবল ট্রেইলার দেখলাম। আপনি ছবিতে ফিল্টার লাগাতে পারবেন, কালার টুইক করতে পারবেন আর মজার মজার স্টিকার লাগাতে পারবেন। এক কথায়, অ্যাপটি আপনাকে সে সকল ফিচারস চান তার সবই দিবে।
ফিচারস:
- এতে আছে ৩০০ এর অধিক কোলাজ টেমপ্লেট। পছন্দ মতো বেছে নিতে পারেন।
- আলাদা ধরনের স্টিকার, ব্যাকগ্রাউন্ড, গ্রাফিটি, টেক্সট লাগাতে পারবেন। সহজেই ছবির কনট্রাস্ট, ব্রাইটনেস, হাইলাইট এডজাস্ট করতে পারবেন।
- এক ক্লিকে নতুন ফেসিয়াল রিকগনিশন টেক দ্বারা ছবি থেকে দাগ দুর করতে পারবেন
- সকল ব্যাসিক টুলস রয়েছে।
- ২০০ এর অধিক ফিল্টার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড আছে অ্যাপটিতে।
19. BeautyPlus
এই অ্যাপটির নাম দেখেই বুঝতে পারছেন যে অ্যাপটির সাথে বিউটি শব্দটির এক নিবিড় সম্পর্ক আছে। আসলেই তাই। অ্যাপটি আপনার মুখ আরো সুন্দর করে দেবে। আজ পর্যন্ত অসংখ্য সেলফি এডিট করা হয়েছে এই অ্যাপটি দিয়ে। অ্যাপটি এর কাজে এত ভালো হওয়ার পিছনে কারণ হলো এর ডেভেলপার বাস্তবে মেকআপ আর্টিস্ট এবং ফটোগ্রাফারদের সাথে কাজ করে এই অ্যাপটি বানিয়েছে। তাই এই অ্যাপটি আমাদের ফটো এডিটিং লিস্টে জয়গা পেয়েছে।
ফিচারস:
- ব্লেমিশ রিমুভার দিয়ে পিম্পল সরাতে পারবেন।
- এর টুলস ব্যাবহার করে সহজে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে পারবেন।
- বিউটি এডিটর এর টিথ হোয়াইটেনিং দ্বারা আপনার হাসি আরো সুন্দর হবে।
- অ্যাপটি আপনার সেলফিতে রেডিয়েন্ট কমপ্লেকশন যোগ করে আপনার সেলফি পারফেক্ট করে দিতে পারে।
- ছবি ক্রপ, রোটেট, হাইলাইট, শ্যাডো এডজাস্ট সবই করতে পারবেন সহজে।
20. PicLab
আমাদের আজকের লিস্টের সর্বশেষ ফটো এডিটিং অ্যাপটি হলো PicLab, যেটা কিনা লিস্টের অন্যান্য অ্যাপগুলোর মতই একটা ডাইনামিক ফটো এডিটর এবং আপনাকে প্রচুর ফিচারস অফার করে। এটা দিয়ে কি করতে পারবেন ? এক কথায় সব কিছুই। আপনার যা প্রয়োজন একটি প্রাণবন্ত ছবি তৈরি করতে তার সবই অ্যাপটিতে পাবেন।
ফিচারস:
- আপনি হাজার ধরনের টেক্সট প্রিসেট ব্যাবহার করতে পারেন। আর টেক্সট এর অস্বচ্ছতা ও সমন্বয় করতে পারবেন।
- অনেক সুন্দর সুন্দর ফিল্টার লাগাতে পারবেন ছবিতে।
- আপনি ছবির উপর আঁকতে পারবেন ড্রইং টুল ব্যাবহার করে।
- আপনি সহজেই ছবির উজ্জলতা, শ্যাডো, কালার এর সমন্বয় করতে পারবেন।
- অ্যাপটির স্টিকার ব্যাবহার করে ছবির সাথে মজা করতে পারবেন।
কিভাবে নিজের জন্য সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ নির্বাচন করবেন ?
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য একটু সম্পূর্ণ কার্যকরি ফটো এডিটিং অ্যাপ নির্বাচন করা অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাড়ায়। গুগল প্লতে সহস্রাধিক ফটো এডিটর আছে, তাহলে কোনটা বাছবেন ? বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো দরকার নেই কারণ আমি আপনাকে সাহায্য করবো।
আপনার ফোনের জন্য ফটো এডিটিং অ্যাপ খোঁজার পূর্বে কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে। আমি নিম্নে সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। চলুন দেখে নেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য ফটো এডিটর বাছার সময় যা মাথায় রাখবেন।
টেকের প্রয়োজনীয়তা দেখুন: এটা সুনিশ্চিত করুন যে আপনার ফোনে ইমেজ এডিটর চালানোর মত শক্তি আর সক্ষমতা আছে কিনা। যেমন: ফটোশপ এক্সপ্রেস ও লাইটরুম চালাতে অনেক বেশি মেমোরি লাগে তাই এগুলো একটা লো পাওয়ারড ডিভাইসের হাল খারাপ করে দিতে পারে।
আর আপনার জিপিউ ও চেক করে নেবেন যে ওটা আপনার ইমেজ এডিটর সাপোর্ট করে কিনা। ডাউনলোড কিংবা ক্রয় করার পূর্বে একটা ইমেজ এডিটর চালানোর জন্য অন্তত যেই স্পেকস দরকার সেটা দেখে নিবেন।
আপনার বাজেট নির্ধারণ করুন: আপনি কত টাকা খরচ করতে ইচ্ছুক। সাধারণ ৩ ধরনের বাজেট নির্ধারণ হয়ে থাকা এক্ষেত্রে। যথা: ফ্রি, মিড রেঞ্জ এবং হাই প্রাইসড ফটো এডিটর। একটা ফ্রি ফটো এডিটর যে আপনাকে একটা প্রিমিয়াম ফটো এডিটর এর ফিচারস দেবে সেটা আশা করে পারেন না।
কিন্তু আপনি কতখানি কাজ করতে চান তার উপর এটা নির্ভর করছে। কিছু ফটো এডিটরের ২ টা ভার্সন থাকে। একটা ফ্রি বা কম মূল্য আরেকটা উচ্চ মূল্যে কেনা ভার্সন।
আপনার অ্যাপটি কি প্লাগিন সাপোর্ট করে: থার্ড পার্টি প্লাগিন গুলো হলো গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন যেগুলো আপনার ফটো এডিটিং আরো সহজ করে দেয়। আপনি ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্লাগিন ব্যাবহার করতে পারেন। এগুলো হোস্ট প্রোগ্রাম থেকেও ভালো কাজ করে। তাই আপনার এডিটরের প্লাগিন সাপোর্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ভিন্ন ভিন্ন প্লাগিন রয়েছে নইজ রিমুভ করা, সৃজনশীল ইফেক্ট বা ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট এডিটিং এর জন্য।
আপনার অ্যাপ কি ব্যাবহার করতে সহজ: আপনি চাইবেন না অযথা একটা ইমেজ এডিটরে টাকা ইনভেস্ট করতে শেষমেষ এই দেখার জন্য যে অ্যাপটির কোথায় কি আছে কিছুই বুঝতে পারছেন না।
সাধারণত আপনার ইমেজ এডিটর যতো বেশি শক্তিশালী এবং ফিচার সম্পন্ন হবে তত বেশি অ্যাপটির ইন্টারফেস বুঝা কষ্ট হবে। তবে সিম্পল ফটো এডিটিং অ্যাপস গুলোর ইন্টারফেস একেবারেই সাবলীল।
আপনার অ্যাপটি কি RAW Conversion সাপোর্ট করে: যদি আপনি একটা ডিএসএলআর ব্যাবহার করে থাকেন আর আপনি কেবল JPEG ফরম্যাটে ছবি তুলেন তাহলে আমার পরামর্শ হবে আপনি RAW ফরম্যাটে ছবি তুলেন।
যখন আপনি JPEG ফরম্যাটে ছবি তুলবেন তখন আপনার ক্যামেরা কেবল মাত্র আপনার ইমেজ ডাটার একটা অংশ ক্যাপচার করে। কারণ ক্যামেরাটি ছবিটি ছোট JPEG ফরম্যাটে কম্প্রেস করতে হবে। আবার এটি নিজের মতো ছবিতে কালার, স্যাচুরেশন, শারপেনিং অ্যাড করে।
RAW ফরম্যাটে ছবি কম্প্রেস হয় না এবং ক্যামেরাও নিজের মতো ছবিটি এডজাস্ট করতে পারে না। এই দিক থেকে RAW ফরম্যাট JPEG ফরম্যাটের উপর প্রাধান্য লাভ করে।
কিন্তু আপনি ফোন এর মাধ্যমে JPEG ফরম্যাটের ছবি খুলতে করলেও RAW ফরম্যাটের বেলায় পারবেন। তাই আপনার লাগবে একটি RAW কনভার্টার। আপনাকে দেখতে হবে আপনার ইমেজ এডিটর এটা সাপোর্ট করে কিনা।
কেনার পূর্বে ট্রাই করে দেখুন: অনেকগুলো ফটো এডিটিং কোম্পানি আপনাকে সুযোগ দেয় তাদের প্রিমিয়াম অ্যাপ ভার্সনের ট্রায়াল ব্যাবহার করতে, যা একটা বলো উপায় এটা দেখার জন্য যে এটা আপনার প্রয়োজন মেটাতে পারে কিনা কেনার পূর্বে।
ফ্রি ট্রায়াল এর সময় অ্যাপ থেকে অ্যাপ আলাদা হয়। তাই আপনাকে একটু খবর নিতে হবে। তবে ফ্রি ইমেজ এডিটরে কোনো কিছুই আপনি হারাবেন না কারণ সেটা ফ্রি।
মতামত
আশা করছি আপনাদের সকলের আমাদের আজকের এই সেরা ২০ অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ এর লিস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে এবং সাহায্য করতে সক্ষম হয়েছে।
আর্টিকেল টি ভালো লাগল শেয়ার করে দিন আপনার বন্ধু আর পরিবারের কাছে। এবং লেখায় কোনো ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনার কোন অ্যাপটি পছন্দ হয়েছে কম্মটে জানান। আল্লাহ হাফেজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমরা স্প্যাম ঘৃণা করি!