অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন-সোর্স প্রজেক্ট। এবং ইহাই এটার সবচেয়ে বড়ো সুবিধা কেননা ওপেন সোর্স হওয়ার জন্য যে কেউ অ্যান্ড্রয়েড কমিউনিটিতে যোগ দিতে পারে। আর অ্যান্ড্রয়েড কমিউনিটি রীতিমতো অনেক বিশাল। মনে সত্যি কল্পনা করা সম্ভব না কত মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ইউজ করছে।
অ্যান্ড্রয়েড কমিউনিটির একটা বড়ো অংশ জড়িত আছে কাস্টম রম কিংবা কাস্টম অ্যান্ড্রয়েড বিল্ড তৈরি করার সাথে। কাস্টম রম এর পরিধি তৎকালীন Cynangeon OS থেকে এখন অনেক বেশি পরিমাণে বর্ধিত। কারণ দিন বদলানোর সাথে সাথে নতুন নতুন কাস্টম রম সৃষ্টি করছে ডেভেলপাররা।
কাস্টম রম ব্যাবহারের মুখ্য কারণ হচ্ছে এই যে, স্মার্টফোন কেনার ১-২ বছর কোম্পানিগুলো আর কোনো সফটওয়্যার আপডেট দেয় না। কিন্তু কাস্টম রম এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড জগতের নিত্যনতুন আপডেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ফোনের জন্য পছন্দ মত সফটওয়্যার স্টাইল বেছে নিতে পারবেন।
আর দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় কারন কাস্টম রম ইউজ করার হচ্ছে যে এদের মধ্যে নানা ধরনের উপকারী এবং সময় উপযোগী ফিচারস দেওয়া থাকে। এছাড়া কাস্টম রম গুলোতে কোনো প্রকার ব্লোটওয়্যার থাকে না যা কোম্পানি গুলো স্বীয় অ্যান্ড্রয়েড স্কিনে প্রাণভরে দিয়ে থাকে।
অতএব, আপনি যদি আপনার ফোনে কাস্টম রম ইন্সটল এর জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন কিন্তু কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না যে এত শত কাস্টম রম থেকে কোনটা বেছে নিবেন তাহলে আপনি আমাদের সাথে জুড়ে থাকুন আমাদের ১২ টি সেরা কাস্টম রম এর লিস্ট আমরা আপনাকে দিচ্ছি।
আরো পড়ুন:
সেরা অ্যান্ড্রয়েড কাস্টম রমসমহু [২০২০]
বি: দ্র: কাস্টম রম ইন্সটল করার পূর্বে ফোনের bootloader আনলক করতে হবে এবং একটা কাস্টম রিকভারি যেমন - TWRP থাকতে হবে। কোনো কিছু করার আগে ফোনের একটা ব্যাকআপ নেওয়া প্রয়োজন নিরাপত্তার জন্য এবং লিস্ট এ বর্ণিত সকল রম এবং তাদের সাপোর্টেড ডিভাইসের সাথে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ভার্সন জড়িয়ে আছে। কিছু রম এর সাথে OpenGapps ফ্ল্যাশ করা লাগে। তাই কিছু না বুঝে কিছু করবেন না। কোনো প্রকার দুর্ঘটনার জন্য BDTechTimes দায়ী থাকবে না। alert-warning
Pixel Experience
![]() |
Image Credit: GizChina |
অ্যান্ড্রয়েড এর কাস্টম এর কথা আলোচনা করা হলে যে নামটি সবার আগে চলে আসবে সেটি হচ্ছে পিক্সেল এক্সপেরিয়েন্স। সত্যি কথা বলতে গেলে অ্যান্ড্রয়েড জগতের সেরা কাস্টম রমই হচ্ছে এটি। এর পিছনে ৪ টি কারণ খুঁজে বের করেছি।
প্রথমত, এটি পিক্সেল স্মার্টফোনের সতন্ত্র সব ফিচারস অন্য সব স্মার্টফোনে এনে দেয়। যেমন: গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, পিক্সেল লাইভ ওয়ালপেপারস, Gcam শুরুতেই থাকে। দ্বিতীয়, এটি প্রায় সব ফোনের জন্যই বিস্তৃত এবং ব্যাপক হারে তৈরি আছে। শাওমি, রিয়াল মি থেকে শুরু করে স্যামসাং, ওয়ানপ্লাস পর্যন্ত এটি প্রসারিত।
তৃতীয় কারণ এই যে অন্যান্য সকল রম এর তুলনায় এটি অনেক বেশি স্ট্যাবল অর্থাৎ, স্থিতিশীল। রমটির মূল ডেভেলপার হেনরিক পেরেরা এত জলদি সব ফোনে অ্যান্ড্রয়েড এর লেটেস্ট ভার্সন দেওয়াতে তৎপর নন যে পূর্বের ভার্সন এর উপর সাপোর্ট ছেড়ে দেবে।
এবং চতুর্থ বৃহৎ কারণ পিক্সেল এক্সপেরিয়েন্স এর বিশ্বজুড়ে মেইনটেন্যান্স রয়েছে যারা কিনা সময়ের সাথে সকল বাগ ভাল্লুক ফিক্স করে দেন। ফলে, রমটি আর এত অসঙ্গতিপূর্ণ থাকে না।
সহজে বললে আপনি যদি পিক্সেল লাইনের ডিভাইসগুলোর ফ্যান হন এবং পিক্সেল এর সব অস্থির অস্থির ফিচারস নিজের স্মার্টফোনে উপভোগ করতে চান তাহলে নির্দ্বিধায় এটাই বেস্ট রম আপনার জন্য।
LineageOS
![]() |
Image Credit: DealNTech |
কাস্টম রম জগতের সবচেয়ে বড়ো নাম হচ্ছে লিনিয়েজ ওএস। কেউ কেউ এই কাস্টম রমটির কথা শুনেও থাকতে পারেন আবার কেউ হয়তবা নাও শুনে থাকতে পারেন। যাই হোক, লিনিয়েজ ওএস মূলত CyanogenMod যেটার যাত্রা শেষ হয়েছিল ২০১৬ সালে যখন অফিসিয়ালরা বললো যে তারা এই রমটা আর কন্টিনিউ করবে না। alert-info
কিন্তু তখন হতে ডেভেলপারদের কমিউনিটি রমটিকে আজও জীবিত রেখেছে লিনিয়েজে ওএস নাম দিয়ে। এই রমটি মূলত গুগলের AOSP কোডের সাথে তাদের নিজস্ব কোড সংযোজন করে বানানো হয়েছে। এমনকি এই রমটি অন্যান্য সব কাস্টম রম এর জন্য সোর্স কোড হিসেবেও কাজ করে।
সবচেয়ে বড়ো ডেভেলপারদের টিম এইরম এর জন্য কাজ করে এবং অফিসিয়ালি ১৯০ টা ডিভাইস সাপোর্ট করে। কাস্টমাইজেশন এর কথা বললে এই রমটি একেবারে খালিও না আবার একেবারে ভরপুরও না।
অ্যান্ড্রয়েড এর স্টক ফিচারস এর উপরে এটি সব দরকারী ফিচারস যোগ করে। যেমন: স্ট্যাটাস বার ইচ্ছেমত চেঞ্জ করা, থিম চেঞ্জ করা, নেভিগেশন বাটন নিয়ে খেলা ইত্যাদি।
Evolution X
![]() |
Image Credit: Xiaomi Authority |
সঠিক ভাবে বলতে গেলে যারা Ressurection Remix রম ব্যাবহার করেছেন তাদের কাছে এই রমটি অনেক ভালো লাগবে কারণ এটি নানবিধ ফিচারস এবং অত্যধিক কাস্টোমাইজেশন অফার করে কিন্তু Ressurection এর তুলনায় বেশি স্ট্যাবল।
এই রমটিতে সফটওয়্যার আপডেট একটু দেরিতে আসে কারণ তারা নানারকম কোড এর অংশ তাদের মেইন প্রজেক্টে একত্র করে কিন্তু Ressurection এর ডেভেলপার্স সম্পূর্ণ কোডটিই পুনরায় লেখে। কিন্তু তারপরও তারা পাক্ষিকভাবে আপডেট দিতে সক্ষম।
Evolution X এর নিজস্ব কাস্টোমাইজেশনের বার আছে যেখান থেকে ইচ্ছে অনুযায়ী সিস্টেমের যেকোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে। এছাড়াও, Android 10 এর জেসচার নেভিগেশন সিস্টেম প্রথম থেকেই রয়েছে।
সম্প্রতি তারা এক নতুন আপডেট লঞ্চ করে যেখানে তারা সকল অপ্রয়োজনীয় ফিচারস এবং বাগ ভাল্লুক বাহির করে দেয়। ফলশ্রুতিতে রমটি আগের অপেক্ষায় অনেক বেশি স্থিতিশীল এবং সিস্টেম রিসোর্সে চালানোর জন্য সহজতর।
Ressurection Remix
যদিও Ressurection Remix এর সক্রিয় ডেভেলপমেন্ট এখন আর হচ্ছে কিন্তু তবুও কিছু ডেভেলপার এখনও সতন্ত্রভাবে প্রজেক্টটি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই যদি আপনি এখনও এই রমটি এর পূর্ণ রূপে উপভোগ করতে চান তাহলে এটাকে এখনও একটা সুযোগ দিতে পারেন।
এক কথায় বললে এটা সহজেই সেরা কাস্টম রম সমূহের মধ্যে একটি। তাদের মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা থাকে যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফিচারস এর ব্যবহারকারীদের কাছে দেওয়া। যার জন্য অনেকেই এই রমটা প্রেফার করে থাকে
এটি LineageOs, Pixel Experience, AOSP এর থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অর্থাৎ সোর্স কোড নিয়ে তার ওপর এর উপর আরও বেশি ফিচারস অ্যাড করে। বেশিরভাগ রম ম্যাকাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফিচারস বেছে ব্যবহারকারীদের দিয়ে থাকেন কিন্তু এইটা প্রায় সব ফিচারস দেয়।
কিন্তু এর জন্য অনেক মূল্য চোকাতে হয় যেমন: ওএস টা সিস্টেমের উপর অনেক বেশি ভারী হয়ে যায় কিংবা পুরো সিস্টেম অস্থিতিশীল অবস্থায় চলে যায়। তারপরও আপনি চাইলে রমটি ফ্ল্যাশ করে দেখতে পারেন ফিচারস এর সমুদ্র।
AOSP Extended
নাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে AOSP Extended রীতিমতো AOSP এর সোর্স কোড দ্বারা বানানো তবে তার উপরও অনেক বেশি ফিচারস যোগ করা হয় অন্যান্য সকল প্রজেক্টের কাছ থেকে। অন্য সকল কাস্টম রম এর মত AOSP Extended ও ব্যাবহারকারীদের মাক্ষণ এবং ল্যাগ-ফ্রি এক্সপিরিয়েন্স দেয়।
AOSP Extended এর মধ্যে কিন্তু কোনো প্রকার কাস্টোমাইজেশনের কমতি নেই। এতে থাকছে একাধিক কাস্টোমাইজেশন এর অপশন যার দ্বারা লক স্ক্রিন, কালার অ্যাকসেন্ট, নেভিগেশন বার সহ অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড সেটিংস কাস্টোমাইজ করা যাবে।
এটি Evolution X এর নেভিগেশন বার নিয়ে আসে এছাড়া বাকি সকল যত্নসহকারে বেছে নেওয়া ফিচারস নিয়ে আসে অন্যান্য রম হতে। AOSP Extended এর পিছনের ডেভেলপমেন্ট টিম অনেক কর্মঠ যারা কিনা প্রতি মাসের শুরুতে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে থাকে।
কথা না বাড়িয়ে বললে এই রমটি বেশ নির্ভরযোগ্য এবং সেরা রমসমুহের একটি এবং প্রতিদিন এর ব্যাবহার উপযোগীও বটে। ডেভেলপাররা অনেক ব্র্যান্ড যেমন: শাওমি, রিয়াল মি এমনকি মটোরোলা স্মার্টফোনের জন্যও Android 10 এর কাস্টম রম বের করেছে।
Havoc-OS
![]() |
Image Credit: Pling |
Havoc-Os এর কথা বলতে গেলে একটু বেশি লাইন ব্যাবহার করে বলতে হবে। কেননা রমটি আপনি প্রথমবার ব্যাবহার করলে অ্যান্ড্রয়েড দুনিয়ার অন্যসব রম এর সাথে এর কোন পার্থক্যই খুঁজে পাবেন না। কিন্তু রমটি যদি একটু বেশি পরিমাণ সময় দিয়ে ব্যাবহার করেন তাহলেই এই সুন্দর রমতির সৌন্দর্য বুঝতে পারবেন।
এটাও অনেকটা Ressurection Remix এর মত। এতেও থাকছে ফিচারস আর কাস্টোমাইজেশনের বড়ো বড়ো ডিব্বা। কিন্তু ওই রমের তুলনায় অনেক বেশি স্ট্যাবল। এমনকি এইটাকে সবচাইতে বেশি স্ট্যাবল রমগুলোর একটা মানা হয়।
Havoc-OS এর অতিরিক্ত সব ফিচারস এর মধ্যে রয়েছে– জেসচার, বাটনস, লাইটস কনফিগার করা সহ আরো অনেক কিছু। নিঃসন্দেহে বলা যায় এতে অনেক বেশি ফিচারস থাকছে। সুতরাং, আপনি যদি Ressurection Remix এর মত ফিচারস চান কিন্তু সেই সাথে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন এর উপর মিস করতে চান না তাহলে এই রমটাই আপনার জন্য শ্রেয়।
Arrow OS
![]() |
Image Credit: XDA Developers |
যদি আপনার এত কিছু ভালো না লাগে অর্থাৎ, আপনি এত বেশি কাস্টোমাইজেশনের উপর গুরুত্ব দেন না তার বিপরীতে একটা সিম্পল এবং মিনিমাল রম খুঁজছেন তাহলে এইটাই সম্ভবত সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। এটা বোধ হয় সবচেয়ে হালকা এবং কার্যকরী রম এখনকার জন্য।
এইটা অনেক বেশি Pixel Experience এর মত কিন্তু এতে কিছু ফিচারস এক্সট্রা দেওয়া আছে হালকা কাস্টোমাইজ করার জন্য। Arrow OS এর সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য ফিচারস এর মধ্যে হচ্ছে Android 10 এর জেসচার নেভিগেশন এর অন্তর্নিবেশ। সেই সাথে থাকছে রিসেন্ট অ্যাপস ওভারভিউ মেনুতে এবং সিস্টেম কালার অ্যাকসেন্ট পরিবর্তন করার একটা অপশন।
ওভারভিউ মেনুতে দেখানো হয় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপগুলো এবং সেই সাথে এমন সব অ্যাপস যেগুলো আপনি ব্যাবহার করতে পারেন। ঠিক যেরকম পিক্সেল ডিভাইস গুলোতে দেখায় ওরকম। তাছাড়া, কারও যদি আগের বাটন নেভিগেশন ব্যাবহার করার ইচ্ছা হয় সেটাও সেটিংস থেকে করা যাবে।
এতে আরো থাকছে একটি কাস্টম ডায়ালার অ্যাপ এবং প্রাইভেসি ম্যানেজার যা আপনার ডাটা ব্রিচ হওয়া থেকে রক্ষা করে। Arrow OS এমন এক প্রজেক্ট যেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সরলতার উপর এবং কিছু কাস্টোমাইজ করার অপশনস দেয় যাদের দরকার তাদের জন্যে।
AOSIP
![]() |
Image Credit: InstanAndroid |
AOSIP (Android Open Source Illusion Project) আরেকটি কাস্টম রম যেটা বানাmনো হয়েছে AOSP সোর্স কোড ব্যাবহার করে কিন্তু বহুবিধ ফিচারস দ্বারা ঠাসা। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হচ্ছে এর ডেভেলপাররা AOSP সোর্স কোড কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করে না যেটা আরও বেশি ভালো পারফরম্যান্স দেয় এবং মড ব্যাবহার করে অনেক দরকারি ফিচারস অনার সুযোগ করে দেয়।
AOSIP ধীরে ধীরে আরো বড়ো হচ্ছে এবং একটা নির্দিষ্ট পাঠকবর্গকে আকর্ষণ করতে পেরেছে। এর মৌলিক কারণ এটি অনেক ডিভাইস সাপোর্ট করে যেমন: শাওমি, স্যামসাং, পিক্সেল ইত্যাদি। আমি বলি কি যদি আপনার Pixel Experience এর সাথে আরেকটু বেশি কাস্টোমাইজেশনের দরকার হয় তাহলে আপনি এই রমটি ব্যাবহার করতে পারেন।
Paranoid Android
কিছু সময়ের বিরতির পর Paranoid Android কিংবা PA আবার ফিরে এসেছে। আপনি না জানলে বলি Paranoid Android কে এক সময় সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত কাস্টম রম বলে ধরা হতো।
যদিও এর মধ্যে ফিচারস এর ডিব্বা নেই অন্যান্য সব ওএস এর মত কিন্তু এটি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি পলিশড একটি ইউআই। এতে থাকছে এর নিজস্ব অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য কুইক সেটিংস এর সংস্করণ এবং একটি Fully Immersive Mode।
Paranoid Android কে সবসময় এমন এক সোর্স ভাব হয়েছে যেখান থেকে কিনা গুগল অনেক ফিচারস ব্যাবহার করেছে। এমন এক বড়ো ফিচার হচ্ছে পিক যেটা আম্বিয়েন্ট ডিসপ্লে নামে পরিচিতি পায়।
বর্তমানে PA কেবল মাত্র Redmi K20 এবং OnePlus 7Pro এর জন্য প্রযোজ্য। তাই আপনার যদি দুটোর একটা থেকে থাকে তাহলে অন্যান্য রম এর তুলনায় এটাকে বেশি প্রাধান্য দেবেন।
CrDroid
![]() |
Image Credit: Shizhub |
যদি এমন হতো যে আপনি যে রম ব্যাবহার করছেন সেটার মতই একটা রম ব্যাবহার করা যেত শুধু মাত্র এখানে সেখানে কিছু পরিবর্তন এর সুযোগ থাকতো। তাহলে CrDroid হচ্ছে এমন এক ওএস যেটা এরকম কাজ করে দেবে। এটা পুরনো ফোন যেমন: Redmi Note 5 Pro, Poco F1 ও সাপোর্ট করে।
AOSP Extended এর মত CrDroid এরও ডেভেলপমেন্ট টিম অনেক বেশি কর্মশিল তারাও নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর আপডেট দিয়ে থাকে। সোজা ভাষায় বললে এটাকে LineageOS এর মত ভাবতে পারেন কিন্তু তাতে একটু বেশি ফিচারস দেওয়া থাকবে।
Dot Os
![]() |
Image Credit: XDA Developers |
আপনি যদি এমন এক ওএস এর কথা ভেবে থাকেন যেটা আপনাকে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট দিবে এবং তার পাশাপাশি স্টক অ্যান্ড্রয়েড এর ফীল দেবে তাহলে আপনি Dot OS এর কথা ভাবতে পারেন। এইটা এমন এক কাস্টম রম যার নামেই লেখা Droid On Time অর্থাৎ এটা নির্দিষ্ট সময়সীমা পর পর আপনাকে আপডেট দিবে।
এছাড়া এটাতে কাস্টোমাইজেশনের অপশনও থাকছে। আগে থেকেই রয়েছে তাদের নিজস্ব গ্যালারি অ্যাপ এবং ওয়ালপেপার অ্যাপ। আরো থাকছে জেসচার নেভিগেশন এর সুযোগ তাই এই রমটি ব্যাবহার না করলে এখনই ইউজ করে দেখে নিন। সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এটি সব ফোনের জন্য বিল্ড বের করে না।
MSM Extended
![]() |
Image Credit: XDA Developers |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমরা স্প্যাম ঘৃণা করি!